Achiya - A GitPage Tribute To Achiya

আছিয়া - ধর্ষকদের কফিনের শেষ পেরেক!

ধর্ষণ!

প্রথাগত সংজ্ঞার সীমাবদ্ধতা রেখে ধর্ষণ বলতে যদি বোঝায় "এমন অবস্থা যাতে একজন ব্যক্তি কর্তৃক স্বীয় ইচ্ছা বা সম্মতি না থাকা স্বত্ত্বেও যৌনতামূলক আচরণের দ্বারা হয়রানি বা নির্যাতনের ঘটনা" - এখানে দুটি ফ্যাক্ট স্পেসিফাইড করা যেতে পারে (১) আপন ইচ্ছা বা সম্মতির বিষয়টি আপেক্ষিক যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তিটি অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো যৌনতা ও ধর্ষণ সম্পর্কে অবগত না থাকা কিংবা জ্ঞান না থাকার দরূণ সে ইচ্ছা বা অনিচ্ছা প্রকাশ করতে সক্ষম নাও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ একটি শিশু (অথবা অপ্রাপ্তবয়স্ক) এর সাথে মিষ্টি চকলেটের আকর্ষণে যে প্রলোভন তৈরী করে যৌন ক্রিয়া করা হয় তাতে বাচ্চাটি যৌন হয়রানি হচ্ছে এটা বুঝতে না পারলেও উহা ধর্ষণ আর আওতাধীন। এই বিষয়টি আরেকটু নিম্ন অবস্থাতে বিবেচনা করলে কেউ যদি কোন পশুর বাচ্চা যেমন বিড়াল বা কুকুর শাবক কিংবা গরু বা ছাগল ইত্যাদি দ্বারা আপন যৌন তাড়নাতে কামনা ও বাসনা মেটায় সেটাও ধর্ষণ কেননা উহাতে উক্ত প্রাণীর স্বীয় ইচ্ছা ও অনিচ্ছার বিষয়টি একদমই উহ্য থাকে। অপরাপর পরিপূর্ণ জ্ঞান ও ইচ্ছা তথা সম্মতির পরও যৌন ক্রিয়ার শুরু বা মধ্যবর্তী কিংবা শেষ সময় অথবা যেকোন সময়ও ঐ যৌন ক্রিয়া ধর্ষণ হতে পারে যখন একজন শুরুতে যৌন ক্রিয়াতে লিপ্ত হওয়ার পরও যখন আর উহা চলমান রাখতে চাচ্ছে না কিংবা এমন যৌন আচরণ যা তিনি এক্সপেক্ট করছেন না কিংবা সহ্য করতে পারছেন না তখন যদি অপর ব্যক্তিটি জোরপূর্বক যৌনতা চালিয়ে যায় তখন তাকে ধর্ষণ বলা যেতে পারে - পরিস্থিতি ও পরিবেশ স্বাপেক্ষ সম্পর্কের দোহায় টেনে মানসিকভাবে একরূপ মৌনতায় বাধ্য করে যে যৌন ক্রিয়া উহাও ধর্ষণ বৈকি; উদাহরণস্বরূপ স্বামী ও স্ত্রী এর মাঝেও দাম্পত্য যৌন মিলন কখনো কখনো ধর্ষণ এর স্বরূপ হতে পারে। (২) যৌনতা মূলক আচরণ বিষয়টি কেবলই শারিরীক ক্রিয়াবাচক কর্মকান্ডেই নয় বরং উহা অস্বস্তিকর দৃষ্টি, কথোপকথন, আকার ইঙ্গিত, স্পর্শ ইত্যাদি বিভিন্ন আচরন হতে পারে।

ধর্ষক কে?

ধর্ষণের ক্ষেত্রে ধর্ষক যে কেউ হতে পারে তথাপি এটা সম্পর্কের ক্ষেত্রে যদি তা যৌন লিস্পার নিকট পরাজিত হয় তবে একজন ধর্ষক স্বীয় পিতা/মাতা, ভাই/বোন, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধু, পরিচিত বা অপরিচিতজন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। খেয়াল করুন এখানে ধর্ষণের স্বীকার হওয়াতে স্ত্রী লিঙ্গের মানুষেরাও ধর্ষক হতে পারে - উদাহরণস্বরূপ একটি নগ্ন শিশুকে দেখলে কিছু উঠতি বয়সী মেয়েরা যদি বাচ্চাটির সাথে মজার ছলে প্রাইভেট পার্ট (যেমন বাচ্চাটির লিঙ্গ) নিয়ে হাতাহাতি করে তবে সেটাকেও যৌন হয়রানি মূলক আচরণ বলা যেতে পারে। বাস্তবতায় আমাদের ধর্মীয় আচরণগত শিক্ষা, মূল্যবোধ, পারিবারিক সম্পর্ক, সামাজিকতা ইত্যাদির তরে সিংগভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষক অপরিচিতজন হওয়াটা যেমন স্বাভাবিক তেমনি একইভাবে এমন অনেক যৌন হয়রানিমূলক আচরণ যা প্রাকাশ্যে আসে না [যেমন বয়সে বয়সে বড় ভাই / আংকেল / মামা / ভাসুর / দেবর / শুশুর ইত্যাদি যেকোন সম্পর্কের মানুষ কর্তৃক আচরণগত যৌন হয়রানি] উহাও ধর্ষণ এবং তারাও ধর্ষক। খেয়াল রাখুন একজন ধর্ষক আপন সম্পর্কে যে কেউ হতে পারে তবে যখনই তার মস্তিষ্কে ধর্ষনের চিন্তা আসবে তখনই সেই সম্পর্কের বিষয়টি ছিন্ন হচ্ছে এবং তার পরিচয় হওয়া উচিত স্রেফ একজন ধর্ষক (বিষয়টি মোটেই সম্পর্কের সাথে রিলেট করে কম্প্রোমাইজ করার মতো বিষয় নয়)।

ধর্ষণ কেন করা হয়?

এই বিষয়টির বহু সামাজিক, শিক্ষাগত এবং ব্যক্তিগত মূল্যবোধের কারণ থাকতে পারে তবে এখানে "একজন ধর্ষক কেন ধর্ষণ করে?" সেটার সাইকোলজি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। একজন ব্যক্তি (ধর্ষক) তার আপন জীবনের যেকোন সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশনের হেতু (যেমন শৈশবে অন্যজন কর্তৃক এরূপ যৌন নিগ্রহের স্বীকার হওয়া যা তার মনে একরূপ ফোবিয়া হতে পরবর্তীতে একই ক্রিয়া সংঘটনে প্রতিশোধ পূরণের মতো স্যাটিসফেকশান যোগায়, সেক্সুয়াল ডিপ্রেশন, সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশন, অবদমিত কামনার সহিত বিকৃত যৌন আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার মানসিকতা কিংবা কৌতূহল, পর্ণ আসক্তির সহিত পর্ণোগ্রাফিক যৌন আচরণে কোন বিশেষ ফ্যাসিনেশান, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশনস বা ডিজিজ যেমন হাইপার সেক্সুয়্যালিটি কিংবা উইয়ার্ড সেক্সুয়াল আর্জ ইত্যাদি ইত্যাদি) অন্য যেকেউ যৌন নিগ্রহের স্বীকার হতে পারে। এখানে এই "যেকেউ" বলাতে সেই কেউ নামক মানুষটা (যিনি ধর্ষিত হচ্ছেন) হতে পারে বিশেষ শ্রেণীর কোন মানুষ (যেমন কিছু কিছু ধর্ষক হতে পারে পেডোফাইল বা শিশুকামী) যার প্রতি ধর্ষকের উক্ত সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশনাল এ্যাক্ট ট্রিগার্ড হচ্ছে (উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় শিশুদের প্রতি কামনা / বয়সে ছোট এমন বিপরীত লিঙ্গের মানুষ / বয়সে বড় বা বয়স্ক কারোর প্রতি বাসনা ইত্যাদি) অথবা যে কোন বয়স বা লিঙ্গের মানুষ। একটি বিষয় এখানে উল্লেখ করা অতি আবশ্যক বলে মনে করছি "যৌনতা বিষয়টি যদিও যৌন উদ্দীপনা তথা যৌনাঙ্গের সাথে রিলেটেড তথাকি ধর্ষণ বিষয়টির সূত্রপাত উক্ত ধর্ষকের ব্রেইন এক্টিভিটি বা সাইকোলজিক্যাল ফাংশান" - সুতরাং ধর্ষণ এর মূল বা রুট হতে মোকাবিলা করার জন্য সাইকোলজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট অত্যাবশ্যকীয়।

ধর্ষক কিভাবে চিনবেন?

একজন ধর্ষক'কে চেনার নানান উপায় থাকতে পারে তথাকি যে কোন ব্যক্তি যখন আপনার স্বীয় সম্পর্কের ভেতরে থেকে এমন অযাচিত আচার ও আচরণ করছে যে যৌন লিস্পার আকার বা ইঙ্গিত প্রদান করছে (ব্যক্তির ইচ্ছার বিপরীতে) তবে সতর্ক হওয়া উচিত - বিষয়টি এমন নয় যে উহা আদৌ শেষ অবধি যদিও চূড়ান্তভাবে শারিরীক যৌন নিগ্রহের রূপ ধারণ না করে কিংবা আত্মপ্রকাশ না ঘটায় তবুও উহা ধর্ষনের অগ্রীম আলামত প্রদান করে যা হয়তো সময় ও পরিস্থিতি স্বাপেক্ষ আক্ষরিকভাবেই ধর্ষন করতে প্ররোচিত সাহস যোগাতে পারে। পটেনশিয়াল রেপিস্টদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই তারা চূড়ান্তভাবে ধর্ষণ ক্রিয়া নানান কারনে যেমন ভয়, সংকোচ, সামাজিকতা ইত্যাদির হেতু প্রকাশ না করলেও তাদের মানসিকতায় যেমন যৌন হয়রানির বিকৃত আচরণ সুপ্ত অবস্থায় বিরাজমান তাতে তাদের হতে সতর্ক থাকা যেমন কর্তব্য। যাদের বোধশক্তির বিকাশ হয়নি যাতে স্বীয় ইচ্ছা ও মতামত প্রকাশ করতে পারে (যেমন শিশু কিংবা অবোধ প্রাণী শাবক) তাতে আপনার কাছের মানুষের যৌনতা সম্পর্কে কেমন ধারনা পোষণ করে এটা খেয়াল রাখুন - তাদের চোখের দৃষ্টি এবং স্পর্শ করার প্যাটার্নে যদি বিকৃত আচরণের প্রকাশ ঘটে তবে মার্ক করুন। আপনার পরিচিতজন বা আত্মীয় স্বজন কিংবা বন্ধু এদের মাঝে নিভৃত কথোপকথনে যৌনতার কোন আকার ইঙ্গিত যা বিকৃত মনোভাবের নূন্যতম প্রকাশ ঘটে কিনা খেয়াল করুন। এমনকি প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও পরস্পরের মাঝে মানসিক বন্ধনের চেয়ে যদি শারিরীক সম্পর্কের প্রতিই এককভাবে লিস্পা অথবা বিকৃত আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে তবে মার্ক করা উচিত। কেবল প্রেমময়ী রিলেশন নয় বরং বিবাহিত সম্পর্কের মাঝেও এমন সেক্সুয়াল ডিপ্রেশন বা ফ্রাস্ট্রেশন থাকলে সেটার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে মানসিক আচরনের প্রতি খেয়াল রাখুন। অন্যদিকে অপরিচিতজনের ক্ষেত্রে যৌন নিগ্রহের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এমন যেকোন আচরনে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যদিও ধর্ষণ বিষয়টি ধর্ষকের মস্তিষ্কের সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশনাল ফাংশান তাই পূর্ব হতেই এটি আন্দাজ করা কঠিন তথাপি ডোমিনেটিং রিএ্যাকশন, আকার ইঙ্গিত ইত্যাদি হতে পূর্ব হতেই একটি ধারণা পাওয়া সম্ভবপর কেননা একজন ধর্ষক ধর্ষনের পূর্বে তার স্বাভাবিক বাহ্যিক আচার আচরণের থেকে ভেতরের সুপ্ত মানসিকতা দ্বারা ড্রাইভ হয়ে থাকে।

ধর্ষক হতে সতর্ক থাকার উপায়!

একজন ধর্ষক হতে আপনি যদি সতর্ক থাকতে চান তবে সামগ্রিকতায় আপনার জানা শোনা মানুষদের ভেতর কারা কারা এরূপ বিকৃত মনোভব পোষণ করেন তাদের ফ্ল্যাশ করা প্রয়োজন কেননা আপনার নলেজে থাকা ঐ মানুষটিই হয়তো অন্য কাউকে ধর্ষণ করতে প্রলুব্ধ হবে - সুতরাং চেইন নেটওয়ার্কে এই আইডিয়েন্টিফিকেশনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। অন্যদিকে অপরিচিতজন অথবা পরিচিতজন যিনি আপনাকে ভার্বাল বা নন-ভার্বাল (সক্রিয় অথবা সুপ্ত) যেরূপ উপায়েই হউক আপনাকে যৌন নিগ্রহের চেষ্টা করছেন তার হতে (১) প্রাথমিকভাবে নিরাপদ দুরত্ব নিশ্চিত করুন (২) আপনি উক্ত ব্যক্তির নিকট আপনার অবস্থা ও অবস্থান সুনিশ্চিত করুন - এক্ষেত্রে আপনার হার্ড মোমেন্টাম আপনাকে দূর্বল ভাবনা হতে বিরত রাখবে - প্রয়োজন আপনার নির্ভরযোগ্য পরিচিতজনের সহায়তা নিঃসংকোচে গ্রহন করুন (৩) যৌন নিগ্রহের বিষয়ে আপনি যে সচেতন উহার আত্মপ্রকাশ ঘটান এবং প্রয়োজনে দেশের প্রচলিত আইনের আশ্রয় নিন (৪) মার্শাল আর্টের মতো কিছু বিশেষ ট্রিক যেমন শারীরিকভাবে আপনার সুরক্ষা নিশ্চিত করবে তেমনি বেশ কিছু সাইকোলজিক্যাল ট্রিক আপনাকে ধর্ষক হতে সর্তকতা অবলম্বন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সর্বোপরি ধর্ষণ বিষয়টি যেহেতু দূর্বলতার তরে এক প্রকার যৌন নিগ্রহমূলক আচরণ (ডোমিনেটিং) সুতরাং আপনার শক্ত মানসিকতার সহিত মনের শক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটানো উচিত।

ধর্ষণ প্রতিরোধে আপনার করণীয়!

এই মুহূর্তে এমন আলোচনা করা হচ্ছে যাতে ধর্ষণের স্বীকার হলে ঐ মুহূর্তে প্রতিরোধ করতে আপনি কি করতে পারেন? এখানে এমন কিছু বিষয় আলোচনা করা হচ্ছে যা কিছুক্ষেত্র যদিও এক্সট্রিম মনে হতে পারে তবুও উহা ঐ পরিস্থিতির জন্য নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায় বৈকি!

ফিজিক্যাল ট্যাকটিস এবং ইকুয়েপমেন্ট

(১) যখন কেউ ধর্ষণ করছে তখন মার্শাল আর্টের কিছু প্রতিরক্ষামূলক কৌশল যেমন গলার মাঝের নিচু নরম স্থান বরাবর হাতের আঙ্গুল শক্ত করে ধাক্কা দেওয়া / সরাসরি চোখ বরাবর দুই আঙ্গুল ব্যবহার করে আঘাত করা / নাক নিচু স্থান বরাবর ঘুষি বা চাপ প্রয়োগ করে দূরে সরিয়ে দেওয়া (যাতে পালানোর পথ পাওয়া যায়) / কনুই ব্যবহার করে শক্ত আঘাত / চিৎকার করা / ধর্ষকের কান লক্ষ্য করে বিকট চিৎকারে আপাত কানে তাব্দা লাগানো / অন্ডকোষে হাত দিয়ে জোরে চেপে ধরা / সম্ভবপর হলে উবুর অবস্থায় থেকে পা দিয়ে সজোরে লাথি দেওয়া ইত্যাদি (২) আপনার পোষাকের সাথে কমপ্লিমেন্ট হিসেবে সেইফটিপিন রাখা যেন সহজেই তা প্রতিরক্ষার কাজে ব্যবহার করা যায় (৩) চুলের কাটা যা শক্তপোক্ত ধাতব দন্ড সেটা ব্যবহার করা যেতে পারে (৪) পেপার স্প্রে রাখতে পারেন যা ছোট আকারে ধর্ষকের চোখ বরাবর স্প্রে করে তাকে আপাত অন্ধ করে দ্রুত সেই স্থান হতে পালায়ন করতে পারেন (৫) আপনার হাতের নাগালেই ছোট্ট ফোল্ডিং চাকু কিংবা ধারালো ব্লেড রাখতে পারেন যা নিরাপত্তা দিতে পারে (৬) সেইফটি ইকুয়েপমেন্ট হিসেবে ছোট্ট হাই ভোল্টেজ ইলেকট্রিক গান রাখা যেতে পারে (৭) হাই সাউণ্ড ফ্রিকোয়েন্সি ডিভাইস হইসেল হিসেবে রাখতে পারেন যা ১২০ ডিবি হতে ১৪০ ডিবিতে ধর্ষক'কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে এবং অন্যদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করবে ইত্যাদি।

সাইকোলজিক্যাল ট্যাকটিস

(১) ঠিক যেই মুহূর্তে আপনি ধর্ষিত হবেন তখন একান্তই চিৎকার বা পালানো কিংবা আটকানোর উপায়ান্তর না পেলে আপনার উচিত হবে তার সহিত এমন আচরণ করা যেন আপনিও তা উপভোগ করছেন - এরূপ অবস্থায় কোন দূর্বলতম সময়ে আপনি উপরোক্ত ফিজিক্যাল ট্যাকটিস এপ্লাই করার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে (২) যদি আপনার জন্য উপযুক্ত সময়ের প্রয়োজন হয় তবে তাকে লালসিত রেখে সময় চূড়ান্ত মুহূর্তের জন্য সময় বাড়াতে থাকুন - এতে করে এক ধরনের যৌনতার ঘোরে ধর্ষক যখন মোহিত থাকবে তখনই আপনার জন্য নিজেকে সুরক্ষার সময় বৃদ্ধিতে সুযোগ পেয়ে যাবেন (৩) আপনি যখন একান্তই ধর্ষণ হওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পৌছে গিয়েছেন তখন সেটাকে স্বাভাবিক যৌনতায় কামনা ও বাসনাতে ধর্ষক'কে কনভিন্স করার চেষ্টা করতে পারেন (বিভিন্ন ছলাকলা ও অভিনয় কিংবা শারীরিক ক্রিয়া) এতে হয়তো হতে পারে সে তাৎক্ষণিক ধর্ষণ অপেক্ষা যৌনতার বিষয়টি অধিক প্রেফারেবল বিবেচনায় আপাতভাবে তাৎক্ষণিক সেল্ফ রেস্ট্রিকশন গড়তে সক্ষম হবেন (৪) পিরিয়ডের দোহায় দিতে পারেন - অনেকের ক্ষেত্রে ব্লাডের প্রতি ফোবিয়া থাকে যা কাজে আসতে পারে (৫) ধর্ষণের চূড়ান্ত পর্যায়ে অগত্যা আপনি আপন নিঃশ্বাস আটকে রেখে মৃত্যের রোল প্লে করতে পারেন - যা কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো ধর্ষকের মনে ভয় ধরিয়ে তাকে পালায়ন করাতে বাধ্য করাবে (৬) অন্যদিকে যদি সে এরূপ অবস্থাতেও স্বীয় কর্ম চালিয়ে যেতে কিংবা আপনার হত্যা নিশ্চিত করতে যায় তখনই হঠাৎ করে আপনার দুই চোখ বড় বড় করে লম্বা নিঃশ্বাসে বিকট মুখভঙ্গি করে ভৌতিক আচরণ করতে পারেন - এক্ষেত্রে ধর্ষকের মনে ভয় জাগাতে উপরন্তু আপনিই তার প্রতি আগ্রাসী হয়ে এগিয়ে যেতে পারেন। এই বিষয়টাকেই আরও রিয়েল্যাস্টিক করে তুলত ধর্ষকের গলায় বা কাঁধে কামড় দিতে আপনার মুখ রক্তাক্ত করে তুলতে পারেন। (৭) ধর্ষক'কে সাইকোলজিক্যাল ব্ল্যাকমেইল করতে আপন ধর্ম বিশ্বাস কিংবা সেনসেটিভ বিষয় ইউটিলাইজ করুন যেমন ধর্ষিত হতে হতে আপনি যদি আল্লাহর নাম (ধর্ষকের ব্যক্তিগত বিশ্বাস অনুসারে) জপতে থাকেন বা সূরা পড়তে থাকেন তবে সেটা হয়তো এক সময়ে কাজে আসতে পারে কিংবা বিশ্বাসী বিষয়ের দোহায় টানতে পারেন (৮) সবিশেষ একান্তই কোন উপায়ান্তর না পেলে যদিও শুনতে খুবই প্যাথেটিক তবুও আপনার উচিত হবে নিজেকে যথাসম্ভব শারিরীক সুস্থির রেখে ধর্ষিত হতে দেওয়া - এটলিস্ট যাতে ধর্ষন বা ধর্ষনের পর আপনি প্রাণে বাঁচতে সার্ভাইভ করতে পারেন। আপনার মনে রাখা উচিত হবে ধর্ষকের ধর্ষন যেমন কেবলি যৌন অঙ্গের আচরণ নয় বরং মানসিকতা তেমনি আপনার সম্ভ্রম কেবলি ভ্যাজাইনাতে নয় বরং সেটা একজন মানুষ হিসেবে আপনার এক্টিভিটি - সুতরাং ধর্ষণ মানে আপনি শেষ হয়ে যাওয়া নয় বরং একজন ধর্ষক'কে শেষ করতে আপনার জীবন যুদ্ধের শুরু মাত্র!

মোবাইল এপ্লিকেশন এবং ইফেক্টিভ ইনফরমেশন

(১) ইমার্জেন্সি মুহূর্তে মোবাইল এপের মাধ্যমে সহায়তা পাওয়ার জন্য My SOS Family Emergency Alerts [ My SOS Family Emergency Alerts App Link ] / SOS Alert | Emergency & Safety [ Emergency & Safety App Link ] / SOS Alert | Panic Button [ SOS Alert | Panic Button App Link ] এই সকল এপ্লিকেশন সমূহ ইফেক্টিভ হতে পারে (২) আপনার সন্তানকে নিরাপত্তা প্রদানে মনিটরিং করার জন্য Qustodio / Norton Family / Bark, FamiSafe / Mobicip / mSpy / Kaspersky Safe Kids / Eyezy / OurPact এপ্লিকেশন কাজে আসবে (৩) বাংলাদেশের সকল থানায় কর্মরত ওসির মোবাইল নাম্বার পাবেন Bangladesh All Thana Operation Incharge Contacts Directory এখান হতে (৪) ইমার্জেন্সি হেল্প লাইন হিসেবে 999 নাম্বার / ডিজিটাল সহায়তায় 333 / নারীর সুরক্ষায় 10921 / হেলথ সাপোর্টে 16263 শর্টকোড ডায়াল করে সহায়তা পেতে পারেন।

ধর্ষনের পর কি করবেন?

যদি আপনি ধর্ষিত হউন তবে সেটা আপনার সম্মানহানি নয় বরং যে ধর্ষক তার জন্য স্বীয় সম্মান নষ্টের হেতু - সুতরাং নিজেকে ভিক্টিম ভেবে আপনি যদি মানসিকভাবে নিজেকে নিঃশেষ করার কথা ভেবে থাকেন তবে সেটা কেবলি (১) আপনার ভুল ভাবনা (২) একজন ধর্ষক'কে পরোক্ষভাবে বাঁচিয়ে দেওয়া এবং (৩) আপনার মতোই অন্য কাউকে ভবিষৎ ধর্ষনের সুযোগ করে দেওয়া - সুতরাং ধর্ষকের মস্তিষ্ক বিকৃত হলেও আপনার এমন দুরবস্থাতেও আপন মানসিক শক্তি বজায় রাখতেই হবে (যদিও এটা খুবই কঠিন তবুও এটাই আপনার পরম দায়িত্ব ও কর্তব্য)। তদুপরি ধর্ষিত হওয়ার পর আপনি যথাসম্ভব নিরাপদ স্থানে (বিশেষত পাবলিক প্লেসে) অন্যের সহায়তা নিন এবং দ্রুত থানাতে অবগত করুন; তারা আপনাকে পরিপূর্ণ কেয়ারের সহিত জরুরী মেডিকেল টেস্টে আলামত সংগ্রহ করবে এবং জিডি পরবর্তী মামলা রজ্জু করতে পরবর্তী স্টেপ গ্রহণ করবে। আপনার পিতা মাতা বা পরিবার পরিজন কিংবা নির্ভরযোগ্য আপনজনের সহায়তায় আপনার নিজেকে সুরক্ষিত করতে সচেষ্ট হউন এবং এই মানসিক ধাক্কা অতিক্রমে একজন প্রফোশনাল সাইকিয়াট্রিস্ট এর শরণাপন্ন হবেন। আপনি ধর্ষিত এটার অর্থ আপনি অপরাধের স্বীকার হয়েছেন - আপনার বিচার চাওয়ার অধিকার আছে - আপনার বেঁচে থাকার দায় আছে এবং উক্ত ধর্ষক হতে ভবিষ্যত আপনার, আমার ও আমাদের সবার সুরক্ষার দায়িত্ব আপনার হাতেই - সুতরাং দয়া করে চুপ থাকবেন না; আওয়াজ সেই কান পর্যন্ত পৌছে দিন যাতে ধর্ষকের উত্থিপিত লিঙ্গ ভয়ে নিস্তেজ হয়ে যেতে বাধ্য হয়!!!