কল্পনা করে নিচ্ছি যে আপনি কাউকে আপন করে পেতে চান - সেটা হতে পারে বিবাহিত দাম্পত্য জীবনে স্বামী ও স্ত্রী, যে কারোর সহিত বন্ধুত্ব, ছাত্র শিক্ষক পরস্পর সম্পর্ক, পিতা মাতার সহিত সন্তান বাৎসল্য ইত্যাদি যেকোন সম্পর্ক; এখানে কাউকে একদম আপন করে পাওয়ার পরম উপায় বিবৃত হলো।
আপনাকে মনে রাখা উচিত যে আপনি যাকেই আপন করে পেতে চান আর যেমনই সম্পর্কের সম্মোধন হউক না কেন তিনি একজন মানুষ - প্রতিটি মানুষ মাত্রই স্বীয় ও স্বকীয় মানসিকতা বিদ্যমান; সুতরাং "পরম আপন" করে পাওয়ার প্রয়াস অবশ্যই একটি মানসিক প্রক্রিয়া হতে হবে বৈকি। উদাহরণস্বরূপ একটি ফ্যাক্ট এখানে উল্লেখ্য করা যেতে পারে "বিবাহিত দম্পতির মাঝে শারীরিক সম্পর্ক (ইন্টারকোর্স) হওয়া মানেই একজন অপরজনকে পুরোপুরি পূর্ণাঙ্গভাবে যে পেয়েছেন এমন পরম প্রাপ্তি নয় - যতোক্ষণ না অবধি একে অপরের মানসিকতার পরস্পর রিলেটিভ হতে সক্ষম হচ্ছেন"। সুতরাং শারীরিক বা ব্যবহারিক (আচরণগত) যেকোন সম্পর্ক'ই হউক না কেন একে অপরকে পরম আপন করে পাওয়ার জন্য উভয়ের মানসিকতার স্বাপেক্ষ নিম্নোক্ত শর্তগুলো বিদ্যমান থাকা একান্তই কর্তব্য হবে।
Love (ভালোবাসা) :- পরস্পর পরস্পরের প্রতি মানসিকভাবে মানবিক ভালোবাসা বিদ্যামন থাকতে হবে।
Trust (বিশ্বাস) :- পরস্পরের প্রতি একে অপরের ওপর পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাস থাকা উচিত।
Dependence (নির্ভরতা) :- একে অপরের প্রতি প্রীতির সহিত নির্ভরতা এবং নির্ভরযোগ্যতা থাকা উচিত; যেকোন পরিস্থিতিতে যেন পরস্পরের পরস্পরের প্রতি নির্ভর করার মতো যথেষ্ট মানসিক নির্ভারতা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নিশ্চিত হয়।
Interest (আকর্ষন) :- পরস্পর সম্পর্কে একে অপরের প্রতি আকর্ষণ থাকা উচিত যা কিনা কৌতূহল ও আগ্রহ ইঙ্গিতে একে অপরের প্রতি টান অনুভূত হয়।
Time (সময়) :- পরস্পর পরস্পরের সহিত ঐকান্তিক সময় যাপন আবশ্যক [ঐকান্তিক সময় যাপন বলতে একান্তই পরস্পরের সহিত খোলা মনে কথোপকথনের প্রতি ইনডিকেট করা হচ্ছে] - এছাড়াও একজন অপরজনকে প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত সময়ের অবকাশ দেওয়া উচিত।
Communication (যোগাযোগ) :- একে অপরের সহিত সুস্থিত যোগাযোগ বজায় রাখা উচিত।
হাসি-কান্না এবং অনুভূতি (Smile-Cry & Emotions) :- পরস্পরের সহিত সম্পর্কে একে অপরের হাসিতে যেমন ভালো লাগা বা আনন্দের অনুভূতি অনুভূত হওয়া উচিত তেমনি তার কান্নাতে দুঃখ অনুভত হবে এমনি মানসিক স্থিতি থাকবে।
Respect (সম্মান) :- প্রতিটি সম্পর্কেই একে অপরকে আপন করে পাওয়ার জন্য পরস্পরের মাঝে সম্মানবোধ এবং সেই সম্মানবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত - তদুপরি আত্মসম্মান বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
Understanding (বোঝা) :- একে অপরকে তার মতো করে বোঝা উচিত যেন পরস্পরের মনের ভাবের বোঝাবুঝি সঠিক ও সুসম্পন্ন হয়।
Happiness (সুখ) :- একে অপরকে আপন করে পাওয়ার জন্য প্রতিটি সম্পর্কের মাঝেই সুখ ও শান্তি তথা স্বস্তিবোধ যেন বিরাজমান থাকে।
যে কারোর সহিত সুন্দর সম্পর্ক স্থাপনে আপনার সুখী ও সফল জীবনের তরে নিরন্তর শুভেচ্ছা রইলো।
চলুন এখন আপনার আপনার অন্য কারোর সহিত সম্পর্কে মান নির্ণয় উপলব্ধি করি এবং প্রয়োজনে সাইকোলজিক্যাল সাজেশনের মাধ্যমে উহার উৎকর্ষতা নিশ্চিত করি....