চিন্তা জগৎ


বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসী চেতনায় আধ্যাত্মিকতার মতোই নানারূপ দর্শন [হিউম্যান সাইকোলজিক্যাল অবজারভেশন ও এনলাইসিসে লব্ধ হওয়া বিশেষ উপলব্ধিগত ধারণার বহিঃপ্রকাশ] সূত্রপাত ঘটে; এক্ষেত্রে BrainGuru আপনার চিন্তন পরিসীমার স্বরূপতা বিশ্লেষণে চিন্তা জগতের অবরুদ্ধ দুয়ার দিতে প্রয়াসী...
আমাদের চিন্তা জগতের অবস্থিতির আপেক্ষিক সমীকরণ এমনটা হতে পারে (হয়তো) : R+.....+(P+T)+P+(P-T) এখানে P হলো আমাদের সাইকোলজি [Psychology] এবং T হলো চিন্তা তথা Thinking এবং R হলো আপাত মূল সীমানা সূত্র তথা Root! আসুন বিষয়টা যদি আরেকটু সহজভাবে বিশ্লেষণ করতে উদাহরণ হিসেবে আমরা একটি পানির অণু H2O বিবেচনা করি - যেখানে বিবর্তনীয় ধারায় প্রবর্তিত মানুষ হয়তো একটি সময় আবিষ্কার করলো যে প্রকৃতির অনন্য যৌগ পানি এর রাসায়নিক সংকেত H2O যাতে দুটি Hydrogen পরমাণু (এককভাবে একত্রিত হাইড্রোজেন অণু) এবং একটি Oxygen পরমাণু সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বৈশিষ্ট্যময় পানির উদ্ভব হয়েছে। এখানে P সাইকোলজির মানুষ আরেকটু চিন্তা T যুক্তকরণে ভাবলো তবে ঐ হাইড্রোজেন বা অক্সিজেন পরমাণু'কে ভাঙ্গলে কি পাওয়া যাবে? আরও উৎকর্ষিত জ্ঞান অর্জনে (P+T) চিন্তনে পরমাণু ভাঙ্গনে পাওয়া গেলো ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন ইত্যাদি মৌলিক কণা এরপর আরও সম্মুখ অগ্রগতিতে (P+T) চিন্তনের বুুদ্ধিমান প্রাণী তথা মানুষ আবিষ্কার করলো অস্থায়ী মৌলিক কণা, কোয়ার্ক আরও কতো কি.....এভাবেই আপাত P সর্বদাই (P+T) অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে [আদতে পিছনে] যেন মূল সূত্র R (Root) জানতে সক্ষম হয়! একজন মানুষ যিনি মুক্তমনা অগ্রগামী তিনি সর্বদাই আপেক্ষিকভাবে সময়ের সাথে সাথে P হতে (P+T) হয় যেখানে তার পূর্বের ফেলে আসা অবস্থিতির ইতিহাস মূল (P-T); এভাবে সর্বদাই নিত্য P নতুন (P+T) হয়ে আরেক নয়া P ফেলে আসে (P-T) আরও নয়া (P+T) অর্জনের প্রয়াসে.... তবে ঐ অজানা R (Root) আর কতোদূর? R (Root) সত্যিই কি সীমানা সূত্র? মূল আর মূলোৎপাটন কি হয়না নাকি হতে নেই অথবা না হওয়ায় মানুষ হওয়ার (বুদ্ধিমান প্রাণী) স্বার্থকতা? যদি তা একান্তই পরমভাবে মূল বা Root হিসেবে প্রতীয়মান হয় তবে মানুষ কি তখন তার চিন্তা T থামিয়ে দিবে? যদি সেই চিন্তা থেমে T=0 হয় তবে মানুষ কি ধ্বংষ হবে নাকি তখন নিজেই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে রিয়েলাইজ করবে সেই প্রাকৃতিক বিবর্তনে প্রকৃতির ঈশ্বর?! তবে T শূন্যতায় বুঝি ঈশ্বরের বৈশিষ্ট্য [যেমনটা আগেকার দিনে যখনই কোন রহস্যের মূল অজানা থাকতো তখনই মানব মস্তিষ্কে উদ্ভাবিত ভাবনা "তাহলে হয়তো উহার শক্তির মূল এক ঈশ্বর....আরকি"]?! অপরাপর P হতে (P+T) অগ্রসর হতে আমাদের ভেতর কি সেই তাড়না কাজ করে? ঐ তাড়না এর স্বরূপ কি বা কেমন?! উহার বাহ্যিক ধরণ হয়তো "কি-কেন-কিভাবে" এই তিন প্রশ্নের সমন্বয় তবে উহা আমাদের কোন R (Root) এর দিকে ধাবিত করছে আর সেটা সত্যিই কতোটা উপযুক্ত হচ্ছে [যদিচ উপযোগীতা নিতান্তপক্ষে প্রামণিত] - আর ঐ R (Root) এ কি সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশান নিহিত আছে?!
প্রশ্নগুলো দার্শনিক হতে পারে - তবে নয়া দর্শনে যদি ভাবনার বিস্তরণে Logic এর আবিষ্কার কি আবির্ভাব হয় তবেই হয়তো স্বার্থকতা যা Root এর দিকে হাঁটি হাটি পায়ে পড়তে পড়তেও একটুও হলেও এগিয়ে নিয়ে যায়.....