মানব সমাজে প্রচলিত সকল ধর্ম বিশ্বাসে বিভিন্ন ঈশ্বর ধারনায় উদ্ভূত সম্পর্কযুক্ত এক অদ্ভুত ফ্যাক্ট হলো "আধ্যাত্মিকতা" - যেখানে আধ্যাত্মিকতার সুসংজ্ঞায়ান হলো "প্রকৃতির প্রাকৃতিক সকল নিয়মের ব্যাতিরেকে এমনসব বিষয় বা ঘটনা যেন তাতে উহার কারণ অনুসন্ধানে লজিক্যাল এক্সপেলিনেশানের আপাত অনুপস্থিতে অনুসন্ধানী প্রয়াসে ঐশ্বরিকতার আবেশ প্রযুক্তকরণ মাত্র" সেক্ষেত্রে আমাদের ব্রেইন একরূপ চমৎকৃত হওয়ায় উহার প্রতি ভয় বা ভক্তি কিংবা ভালোবাসায় এক ব্যতিক্রমী সাইকোলজিক্যাল উদ্দীপনার উদ্ভব ঘটে।
একটু সহজভাবে এক্সামপোলের মাধ্যমে এক্সপ্লেইন করা যাক...
আগেকার সময়ে জলাশয়ে রাতে এক অদ্ভুত আলো (যা আলেয়া নামে পরিচিত) এর উদ্ভবে চমৎকৃত হয়ে কৌতূহলী মানব মনের কুসংস্কারের অবতারণায় নানান উপকথায় তাকে বিশেষায়িত করা হতো - তাতে ভৌতিকতা তথা অতিপ্রাকৃতিক আবহের অবতারণা ঘটতো; অথচ বিজ্ঞান যখন আবিষ্কার করলো এটা মিথেন গ্যাসে জ্বলা আগুন তখন কিন্তু আধ্যাত্মিকতার আবেশে উদ্ভূত উদ্ভট সমুদয় অপ্রাকৃতিক আবহের অবশেষ ঘটে।
আশাকরি অধ্যাত্মিকতার বিষয়টি সামান্যতম হলেও রিয়েলাইজ করতে সক্ষম হয়েছেন; তথাপি অপ্রাকৃতিক বিষয় সমূহে যে ঈশ্বরের অবস্থিতির অবস্থান কল্পনা করা হয় তা নেহায়েত "এমন অদ্ভুত বিষয় যাতে লজিক্যাল উত্তর অদ্যবধি অনাবিষ্কৃত থাকায় তাতে ঈশ্বরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য স্বরূপতা আনয়নে আপাত সমাধানমূলক কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া মাত্র - যাতে একরূপ সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশান গেইন হয়"!
এই গোটা পৃথিবীতে অদ্যবধি অনাবিষ্কৃত বিষয় সমূহের সংখ্যা সীমিত নয় [এমনকি সুদূর ভবিষ্যতেও ইহার অন্ত অবধি রইবে না কেননা আমরা যতোই বিজ্ঞানের সহায়তায় সামনে এগিয়ে যাবো ততোই হয়তো সূক্ষতম সমস্যা তথা Root Question সম্মুখে এসে দাড়াবে - যার লজিক্যাল এক্সপেলিনেশান আবিষ্কারে আমরা প্রয়াসী থাকবো] তদুপরি এরূপ অগ্রসরে আমাদের মনে অন্তত অধ্যাত্মিকতার প্রতি জাগ্রত অযাচিত মনোভাব লুপ্তি ঘটবে - তাতে আমরা আরও গভীরভাবে যৌক্তিক ভাবনার দিকে ধাবিত হতে থাকবো...
যাই হউক এই অধ্যাত্মিকতার জন্ম ও বিকাশ কিন্তু আমাদের মস্তিষ্কেই তাতে হিউম্যান সাইকোলজির বৈচিত্র্যতায় লব্ধ অনুভূতিকে আমরা কি এমনভাবে ব্যবহার করতে পারি যাতে Human Life পজেটিভটি বেনিফিশিয়ারী হতে পারে?!
অবশ্যই পারে - এটার বাস্তব সত্যাতিসত্য উদাহরণ হলো "প্লাসিবো ইফেক্ট" যাতে "মিথ্যার ছলনায় ব্যক্তির বিশ্বাসগত অবস্থিতিতে একরূপ ফিজিক্যাল অবস্থানে আপাত সুস্থতা লাভ" যেথায় মূলত মেডিকেল সায়েন্সের প্রতি আস্থায় লব্ধ হওয়া "বিশ্বাস" ইফেক্টিভ ভূমিকা পালন করে!
মেডিকেল সায়েন্সের প্রতি আস্থায় উৎপন্ন হওয়া বিশ্বাস অথবা ঐশ্বরিকতায় আধ্যাত্মিকতার মূল (Root) বিশ্বাস - যেটাই হউক না কেন আদতে সাবকনশিয়াস মাইন্ডের সাইকোলজিক্যাল টার্মটাই হলো "বিশ্বাস" যা সর্বক্ষেত্রেই মূলোৎপাটিত ধ্রুবক বলা চলে; এই "বিশ্বাস" ফ্যাক্ট'টির এমনকিছু সাইকোলজিক্যাল ইউটিলাইজেশান আমরা অবজার্ভ করবো যেন আমাদের ব্যক্তি জীবনে ব্যবহারিক ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রে উহা [নির্লিপ্ত অবচেতন বিশ্বাস] এর স্বার্থক ও সফল ইউটিলাইজেশনে সাকসেস এচিভ করতে সক্ষম হই!
Psycho Magic
Magic হলো জাদু - যা মূলত Entertainment এর উদ্দেশ্য আশ্চর্যজনক ক্রিয়া-কর্ম ইঙ্গিত করে; যাতে মিশে থাকে রহস্য এবং লুকিয়ে থাকে অজানা Trick তথা কৌশল। অপরাপর Black Magic তথা কালো জাদু হলো একরূপ বিশ্বাস ও ধ্যান-ধারণাতে নিবিষ্ট আচার-আচরণ; যা যৌক্তিকতার উর্দ্ধে প্রথাগত ধারনার স্বপক্ষে অতিমানবিক ক্রিয়া কলাপের সত্যতার দাবী করে [যা অদ্যবধি অপ্রামাণিত]।
জাদু বা কালো জাদু - যেটাই বলা হউক তা মূলত একরূপ বিশ্বাস এবং ধ্যান-ধারণার আচার অনুষ্ঠান (কর্মকান্ড) তাতে বাস্তবিক যুক্তি [Logic] উহ্য থাকে; তথাপি এই কর্মকান্ডের প্রভাব মূলত সাইকোলজিক্যাল বা মানসিক অবস্থিতি নির্ভর স্বরূপতা মাত্র!
আসুন আমরা এই Psycho Magic [ব্ল্যাক ম্যাজিক ইত্যাদির পরিবর্তে আমরা এখানে Psycho Magic শব্দের অবতারণা করছি - যা অপেক্ষাকৃত অধিক গ্রহনযোগ্য] উপলব্ধিতে নির্দশন সমেত আলোচনা করি....
PsychoBann
PsychoBann শব্দটা আধিখ্যেতায় আক্ষরিকার্থে দেশীয় ভাষাতে "বান" নামক এক কুসংস্কার [Parapsychological ফ্যাক্ট] বিষয়কে তিরস্কারপূর্বক Super Psychology এর ব্যবহার সুনিশ্চিত করার প্রয়াস মাত্র...
"বান মারা" বিষয়টিকে প্রত্যক্ষভাবে আমরা উপলব্ধি না করলেও হয়তো বয়োবৃদ্ধ মুরুব্বিয়ানা মানুষের গল্প-মুখে শুনে থাকবো। "বান" বা "বান মারা" বিষয়টির অর্থ এরূপ যাদু, টোনা, উচ্চাটন, মারণ, বশীকরণ, বান মারা, তাবিজ করা বা কুফরি যাদু প্রভৃতি তদুপরি পশ্চিমা দেশেও কিছু কুসংস্কারাপন্ন মানুষের মাঝে এরূপ চেতনা পরিলক্ষিত হয়; মোদ্দাকথা পুরো পৃথিবী জুড়েই প্রাচীন প্রথা বিবর্তিত হয়ে মানব মস্তিষ্কের কনশিয়াস আর সাবকনশিয়াসের ভারসাম্যহীনতায় সৃষ্ট বিশ্বাস-অবিশ্বাস, ধ্যান-ধারণা আর কৌতূহল-রহস্যে এমন অলৌকিকতা বিভিন্ন নামে আর ভিন্ন ঢং - এ প্রশ্রয়প্রাপ্ত হয়। আর ঐরূপ কৌতূহলে অহেতুক ধুপে আগুন জ্বেলে দেয় মিথ-মিথ্যা, ধ্যান-ধারণা আর ধর্মের চেতনা!!!
যদিওবা মানব জীবনে ধর্মের তাৎপর্য্যপূর্ণতা বিদ্যমান তথাপি মুদ্রার অপর পীঠে অকারণ অযাচিত ও অযৌক্তিক ভীতিকর বিকৃত চেতনা যে মানব মস্তিষ্কের জন্য কতোটা কলংক সেটা বিজ্ঞানের গ্রাফে একটু অংক কষলেই বোঝা যায় - অপরাপর এরূপ বোঝার ভারে ভারাক্রান্ত অন্তরে এমনি এক ভয়ানক ব্যাধি [রোগ নয়] ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে আছে "বান" তথায় সার্বিকভাবে ব্ল্যাক ম্যাজিক!!!
স্বাভাবিকভাবে "বান" বিষয়টি বদনজর বা জাদু-মন্ত্র কিংবা অভিশাপ বা বদ-দোয়ার নিরীক্ষে সাইকোলজির সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায় এরূপ:-
সাধারণভাবে আপনি যখন কোন ব্যক্তির ওপর বিরাগ হউন এবং বিষয়টি কোনভাবে ঐ ব্যক্তির কান অবধি পৌছে তবে ব্যক্তিটির মস্তিষ্কে কিঞ্চিৎ হলেও নূন্যতম ভয়ের [ভীতি, আত্ম-অনুশোচনা, দুঃশ্চিন্তা, দুর্ভাবনা প্রভৃতি এবং এইসকল হতে উৎপন্ন জটিল ম্রিয়মাণ মানসিক মিথস্ক্রিয়া] অনুভূতি জাগ্রত হয় [এজন্যই হয়তো অচেনা-অজানা বা বিখ্যাত মানুষদের দূরত্বের দোহায় টেনে বান দিয়ে প্রাণনাশ করা সম্ভব হয়না আরকি....] - ঐ অনুভূতিই মস্তিষ্কে হয়তো Responsive Signal তৈরীতে হরমোনের তরঙ্গ ছড়িয়ে দেয় - যা হুট করে হঠাৎ সহজ কাকতালীয় বিষয়টিকেও কঠিন কারিশমাতে মনের দুয়ারে কড়া নাড়তে বাধ্য করে; আর তখনই সেই ভয় হয়ে দাড়ায় ভৌতিক মাত্রার "বান" রূপে এক নিশ্চল মরণআঘাত [হয়তো কথাটা খুবই কমন ক্লাসিকাল সাহিত্যিক রূপক মনে হতে পারে তথাপি দৃষ্টান্ত স্বরূপে এটা সত্য নয় কি "অদ্যবধি সর্পদংশনে উল্লেখযোগ্য মৃত্যুর কারণ টক্সিন নয় বরং ভয়ের তাড়নায় হার্ট এট্যাক বা প্যানিক এট্যাক"]!
সরেশ বিষয়টি আরও একটু রসালো হয় যখন হালকা বায়বীয় বদ-দোয়া বা অভিশাপ করা ব্যক্তিটি অসুস্থ হয় কিংবা ধীরে ধীরে নিঃশেষিত হয়ে যায়; আরও মণ্ডামিঠাই'তে মিথের গল্প মধুর হয় যখন voodoo [এই voodoo-ই দেশী বান এর মোডিফাইড রূপ] তে একটা হ্যাংলা পাতলা জড় পুতুলের প্রাণবধে পিন (সূচ) ফুটিয়ে ফাতরামি [কালো জাদু ক্রিয়া বোঝাতে] ক্রিয়া সম্পন্ন হয়!
যাই হউক Super Psychology এই বিষয়টির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে কিছু ধারণা দিতে পারে যেমন (১) আপনি যদি কারোর দিকে বারবার বিরক্ত-বিরাগ নজরে তাকান তবে ঐ ব্যক্তিটির আপন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিতে মস্তিষ্কে অযাচিত আলোড়ন তৈরী হতে পারে- যা হয়তো তার Self Negative Intention উদ্ভবে জীবনাচরণ ব্যাহত করতে পারে! (২) আপনি কাউকে বারবার আর বারংবার ইনিয়ে বিনিয়ে বোঝান যে "তুমি তো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছো" তাহলে ঐ মানুষটিও হয়তো দ্রুতই অসুস্থ হয়ে যেতে পারে - তখনই তার মন পূর্বে করা আপনার মিথ্যা বাক্যের প্রতি সত্যতা প্রতিস্থাপনে Mental Statement তার Physical Strength কমজোর করে তুলবে [একই ঘটনা ঘটতে পারে স্বাস্থ্যের পরিবর্তে ব্যক্তি অবস্থা-অবস্থান অথবা ক্ষমতা-বিত্ত বা প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রভৃতি স্বাপেক্ষ]! (৩) "অহংকার পরিত্যাজ্য" এটা শুধুমাত্র সামাজিকতার উপদেশ নয় বরং অহংকার আমাদের অন্তরে নীরব সূক্ষভাবে "অকারণ ভবিষ্যত ভীতি" এর বীজ বপন করে যা একসময় মহীরুহ এর আকার ধারণ করে; অজ্ঞাত "ভয়" বড্ড ভয়ংকর! (৪) কালো জাদু করা পুতুলের শরীরে সূচ ফুটানো মনের কৌতূহলের কলকব্জার আওয়াজে আত্ম-প্রবঞ্চনা কি আত্ম-সান্ত্বনাতে পাওয়া এমনি অনুভূতি যা আপনাকে এনে দেয় একরূপ ঘৃণিত স্যাটিসফেকশন; পক্ষান্তরে অন্তরে লালিত লেলিহান লালসা বা বাসনার [Bad Wish] এর কদাচিৎ বা কাকতালীয় বাস্তবরূপ ঘটতেও পারে - যা এনে দেয় মিথের উপর মিথ্যা বিশ্বাস মাত্র! (৫) মিথের মিথ্যা বদদোয়া বা অভিশাপ আকাশে আছাড় খেয়ে আপনার ওপর পতিত হয়না যদিনা আপনার আপন ব্রেইনে ভয়ের বিস্তর বিস্তারণ উপস্থিত থাকে!
সবিশেষ এটা বললে হয়তো অত্যুক্তি করা হবে না যে এক প্লাসিবো ইফেক্ট যদি মস্তিষ্কের মায়াজালে হরমোনের জোয়ারে সুস্থ প্রাণ সৃষ্টি করে তবে বিপরীত ক্রিয়া তথা প্রতিক্রিয়ায় ভাটার টানে প্রাণনাশ কি সর্বনাশ হওয়া অলৌকিক নয় অন্তত - অন্তরে [ব্রেইন বোঝাতে] লজিক থাকলে ল্যাজামুড়ো হতে হয়না!
PsychoParasite
Parasite অর্থ পরজীবী - সোজাসাপ্টা পরজীবী হলো সেই অনুজীব যা নিজে বেঁচে থাকার জন্য অন্য জীবের আশ্রয় নিয়ে থাকে!
PsychoParasite হলো Super Psychology এবং Parapsychology এর দ্বৈত সম্মিলনে গড়া তেমনি এক বিশেষ ধারণার দর্শন "যা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে অসম্ভব ও অবাস্তব হলেও মানব মনের বিস্ময়কর বিস্তৃত বৈচিত্র্যময় বিকাশে আপাত স্থিতিমান বিষয়ের দ্বারা মানসিকভাবে সুফল এবং সফলতা লাভ করার প্রয়াস মাত্র"!
এই বক্তব্যটি হয়তো আমরা নির্লিপ্তভাবে স্বীকার করতে পারি যে "ভূত [ভূত বলতে এখানে যাবতীয় অশরীরীর ধারণা যেমন জ্বীন, পরী, আত্মা, প্রেতাত্মা, দৈত্য-দানব প্রভৃতি] বলতে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে অদ্যবধি বাস্তবতা নেই তথাপি ভয় [ভয় বলতে এখানে মানব মনের ভক্তি-বিশ্বাস ইত্যাদির বহিঃপ্রকাশ বোঝানো হয়েছে] এর অস্তিত্ব হিউম্যান ব্রেইনে অবশ্যই বিরাজমান"
এই ভয় বা বিশ্বাসের বিস্তৃত স্বরূপ কিন্তু বিবর্তনীয় বিকাশে প্রাপ্ত সুতরাং এক্ষেত্রে অস্বীকার হয়তো [সম্ভাবনা] বিরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারে [যদিও লজিকের ধারে সদা সত্যতা'ই গ্রহণ করার উন্মুক্ত মানসিকতা সম্মুখে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা এবং রহস্যভেদে বিজয় লাভের পূর্বশর্ত তথাপি কনশিয়াস ও সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের মাঝে জোরপূর্বক নূন্যতম বিচ্যুতি আপেক্ষিকভাবে হিউম্যান লাইফের বিরাট বিপর্যস্তার কারণ হতে পারে] - সুতরাং সত্য স্বীকার্য রেখে পরমভাবে মনস্তাত্বিক ধারণাকে ইউটিলাইজ করে সফলতা লাভ নিশ্চয়ই মন্দ হতে পারে না!!!
আমরা এখানে এরূপ ভয় বা বিশ্বাস'কে Parasite হিসেবে আখ্যায়িত করছি যা আমাদের ব্রেইনে তথা সাইকোলজি'তে গেঁথে আছে [যার বিশেষ্য অবস্থিতি হয়তো নেই তবে বিশেষত্বের বিশেষণ পরজীবীর মতোই আমাদের মস্তিষ্কে বিশেষভাবে বিরাজমান]- আমরা এই PsychoParasite কে আমাদের ইফেক্টিভলি ইউটিলাইজ করবো এবং Positive Inertia গেইন করবো!
সর্বপ্রথম আপনার আপন ধর্ম ও ধ্যান ধারণার বিকাশে যা আপনার বিশ্বাস সেটাকে বেছে নিন [অবশ্যই মুক্ত মানসিকতায় পূর্বেই সত্যতা স্বীকার আবশ্যক - এখানে বিজ্ঞানের ভাষায় বিশ্বাস অথবা অবিশ্বাসের কোনরূপ অবকাশ নেই]; এখন উক্ত ধ্যান ধারণার স্বপক্ষে সর্বাপেক্ষা অধিক গ্রহণযোগ্য [আস্থাশীল] Ritual (আচার-অনুষ্ঠান তথায় ইবাদাত-উপাসনা বা ক্রিয়া-কলাপ ইত্যাদি) নির্দিষ্টকরণ করুন এবং সবিশেষ উহাকে [বিশ্বাস বাচক ক্রিয়াবিধি] Super Psychology এর সহিত সমাবেশিত করে বহিঃপ্রকাশ নিশ্চিত করুন...
উদাহরণ হিসেবে এখানে একটি ব্যবস্থাপনা বিশ্লেষিত হলো:-
পার্থিব প্রায় প্রতিটি ধর্ম বিশ্বাসে আধ্যাত্মিকতা ও অলৌকিকতার বিশেষত্ব থাকলেও যুক্তিনির্ভর ব্যাখ্যা বা প্রমাণসই প্রক্রিয়ার উল্লেখ নেই [কেবলমাত্র বিশ্বাস ব্যতীত স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ প্রায়োগিক ক্ষেত্রে সত্যাসত্য বিচারের নির্দিষ্ট উপায় বা নিদর্শন] তাই কঠিন কার্যকরণ'কে যথাসম্ভব "উক্ত ধর্ম-বিশ্বাস এবং ধ্যান-ধারণা'তে উল্লেখিত তত্ত্ব ও তথ্যের ভিত্তিতে" ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধ্যমে আপাত নিশ্চিতকরণ দ্বারা PsychoParasite এর সুফল ও ব্যবহারিক সফলতা [হয়তো] Gain করা সম্ভব হবে; এমনই একটি Matter হলো "পানি পড়া" যেখানে ধর্মগুরু মুরুব্বি মরদ কি মাদীর ধর্মচিন্তন চেতনা দোয়া-কালাম কি তন্ত্র-মন্ত্র অথবা ম্যাজিক্যাল স্পেল যাই বলা হউক না কেন উহা আবৃত্তি করে [হয়তো উচ্চস্বরে নয়তো নিঃশব্দে অথবা কিঞ্চিৎ উচু-নিচু স্বর মিলিয়ে স্পষ্ট অথবা প্যাঁচালো প্যাটার্নে] পানি'তে ফু দেওয়া - অতঃপর সেই পানি পানে উদ্দেশ্য সফল হওয়া!
"পানি পড়া" বিষয়ে PsychoParasite ব্যবহারে সফলতা লাভের পূর্বে কিছুটা হলেও ব্যাখ্যা অতি-আবশ্যক; উপরোক্ত "পানি পড়া" এর ক্ষেত্রে বিশ্বাসী ব্যক্তিগণ সেইসব ধর্মীয় গুরুর শরণাপন্ন হউন যার/যাদের প্রতি Faith [এই Faith এর স্বরূপ ভক্তি ও ভালোবাসায় মান্যতা] আছে - অতঃপর দোয়া-কালাম বা তন্ত্র-মন্ত্র অথবা ম্যাজিক্যাল স্পেল প্রভৃতি [সেইসব বিষয়ে যাদের মনে গভীর কিংবা নূন্যতম হলেও ভক্তি বিদ্যমান] আবৃত্তি [এমনভাবে আবৃত্তি যেন তাতে অজানা গোপনীতায় রহস্য মিশে থাকে - আর রহস্য আমাদের মনে জাগ্রত করে ভক্তি] করে পানিতে ফু [এই ফু এর বিশ্বাস এমন যেন উচ্চারিত দোয়া-কালাম বা তন্ত্র-মন্ত্র পানিতে মিশে গেল (যদিওবা আদতে উক্ত ব্যক্তির মুখের থুথু হতে কিছু অনুজীব পানিতে মিশলো)] দেওয়ার ফলে সেটা বিশেষত্ব'যুক্ত হলো [এই বিশেষত্ব হলো মূলত বিশ্বাস যুক্ত হওয়া আরকি]! অপরাপর ঐ বিশেষ (বিশেষত্ব'যুক্ত) পড়া পানি পানে সুস্থতা বা সফলতা লাভের কারণ হলো সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের [কিঞ্চিৎ আনকনশিয়াস মাইন্ডের দায় দেওয়া যায় বটে] বিশ্বাসের দরূণ Endrophins বা Dopamine এর মতো হরমোন নিঃসরণে শারীরিক বা মানসিক পরিবর্তন [ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই একই প্লাসিবো ইফেক্টের বহুবিধ ব্যবহারিক স্বরূপ]!
এখন আপনার অথবা এমন ব্যক্তি যার ঐরূপ মন্ত্র-তন্ত্র বা দোয়া-কালাম অথবা দৈত্য-দানব (যেমন জ্বীন-পরী কিংবা দেব-দেবী) প্রভৃতিতে বিশ্বাস আছে তার কোন বিশেষ প্রয়োজন [এমন বিষয় যা স্বাভাবিক চেতনায় যুক্তিহীনতা সত্ত্বেও কেবলমাত্র অবচেতন তাড়নার অভাবে সংঘটিত হচ্ছে না] ঐসবের দোহায় টেনে পানি ফু দিয়ে [যদি সম্ভব হয় তো আপনার আপন ফু দ্বারা পানিকে বিশেষায়িত করুন কেননা অপরের মুখের লালা গ্রহণ স্বাস্থ্যকর নয় তথাপি একান্তই আপনার নিজেকে ডেডিকেটেড পার্সন মনে না হলে অপরের ফু দেওয়া DW (D= Distilled W=Water)] গ্রহন করতে পারেন!
এখানে একটি বিষয় বিশেষভাবে বলা হলো:-
উপরোক্ত আলোচনায় পরিলক্ষিত হওয়া বিশ্বাসবোধ যদি বিজ্ঞানের লজিক জানায় আপনার অবচেতন অন্তরে বিচ্যুতির অবকাশ ঘটায় তথায় আপনার ক্ষেত্রে ফু দেওয়া পানি পান করেও হয়তো উপকৃত হতে পারবেন না সুতরাং অজ্ঞাত রহস্যের বান্দা না হয়ে সত্যের বাঁধনে শুধুমাত্র শুভকামনা জানানো বায়বীয় ফুঁৎকারেও PsychoParasite আপনার প্রভূত Fantastic ঘটাতে খুবই সক্ষম!