শংসন

বিভিন্ন ধর্মীয় উপকথায় ঈশ্বর কর্তৃক এমন কিছু নিদর্শনের ঘটনার বিবৃতি পাওয়া যায় (যদিও সময়ের পরিক্রমায় তা অনেকাংশে রং চড়ানো কথার কথায় পরিণত হয় অথবা তাতেও হয়তো লুকিয়ে আছে কোন অজানা কলাকৌশল কিংবা Mass হ্যালুসিনেশানের মতোই কোন সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশন ইত্যাদি) তথাপি BrainGuru মানব ব্রেইনের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ কিছু শংসন এর অবতারণা করছে...

Mind Reading

Mind Reading বা Thought Reading হলো একটি মানুষকে দেখেই তার ব্রেইনের মাঝে কি চলছে তা বুঝে ফেলা অর্থাৎ সোজাসাপ্টা বললে "মনের কথা পড়ে ফেলা"। আগেরকার দিনে মানুষেরা Mind Reading বিষয়টিকে অলৌকিক ভাবলেও আধুনিক যুগে অনেকেই বিশ্বাস করেন Mind Reading হলো বিভিন্ন লজিক্যাল ট্রিকস এবং সূক্ষ মনস্তত্ত্ববিদ্যার সমন্বয়- তবুও Mind Reading বিষয়টিতে অদ্যবদি রহস্য মিশে আছে তো বটেই! বস্তুত Mind Reading হতে পারে দুই প্রকার; যেখানে প্রথমত কোন ব্যক্তির বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, প্রকৃতি, বায়ো হিস্টোরী, ব্রেইন ওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি জাস্টিফিকেশান ইত্যাদি জানার মাধ্যমে সম্ভাব্য অনুমান নির্ভর Hypothesis; অপরদিকে দ্বিতীয়ত কোন ব্যক্তির কনশিয়াস মাইন্ডকে Inactive করে তার সাব-কনশিয়াস মাইন্ডে আপন ব্রেইনের নির্দিষ্ট কোন চিন্তা-ভাবনা ঢুকিয়ে দেওয়া (যাকে এক প্রকার Mind Access বলা যেতে পারে) তারপর সেই চিন্তা চেতনা'টিই ব্যক্তির সামনে ভিন্ন মাত্রায় উপস্থাপনের মাধ্যমে Mind Reading এর দাবী করা মাত্র।
যাই হউক Mind Reading হলো সম্পূর্ণ ব্রেইনের খেলা যা Body Language - Knowledge - Observation - Strategy - Mathematical Law - Tricks এবং Logic এর দ্বারা সংঘটিত হয়।
অনেকেই Mind Reading এর সাথে Telepathy এর সম্পৃক্ততা খুঁজেন যদিচ Mind Reading এর সাথে সর্বাধিক "নন-ভার্বাল কমিউনিকেশন" জড়িত; আসুন সাম্যকভাবে Mind Reading এর কিছু Basic আলোচনা করি...
(১) যখন কেউ আপনার কথা শোনার সময় তার চোখের দৃষ্টি এদিক সেদিক করেন,কথার প্রত্যুত্তরে ভিন্ন বিষয়ের অবতারণার চেষ্টা করেন কিংবা অসামঞ্জস্যপূর্ণ দেহভঙ্গি যেমন অযথা হাত-পা নাড়ানো,অস্বাভাবিক নির্বিকার চিত্ততা ইত্যাদি প্রকাশ পায় তখন বুঝে নিবেন তিনি হয়তো বেখেয়াল ও অমনোযোগী এবং সম্ভাবত আপনার কথাতে হয়তো আগ্রহী নন। (২) কেউ কথা বলার সময় তার দৃষ্টি কোথায় থাকছে সেটা খেয়াল করুন; যেমন নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলার অর্থ হয়তো শ্রদ্ধাশীল আনুগত্য'তা বা কিছুক্ষেত্রে সত্য লুকানো, আপনার মুখের দিকে তাকিয়ে স্ট্রিট ফরোয়ার্ড কথা বলার অর্থ হয়তো তিনি সত্য বলছেন, অস্বাভাবিক বিক্ষিপ্তভাবে বারংবার আপনার শরীরের বিভিন্ন স্থানের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘসূত্রিতায় কথা বলার অর্থ উল্টো তিনি হয়তো আপনার ভাবভঙ্গি (রিএ্যাকশন) বোঝার চেষ্টা করছেন। (৩) যদি কেউ আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে দৃঢ়ভাবে কথা না বলতে পারেন এর অর্থ হয় তিনি মিথ্যা বলছেন নয়তো কোন সত্য লুকাচ্ছেন অথবা কিছু গোপন করার চেষ্টা করছেন; এমনও হতে পারে তিনি খুব নার্ভাস ফিল করছেন বা অস্বস্তি অনুভব করছেন। (৪) কোন ব্যক্তির চোখের দিকে তাকিয়ে খুব সহজেই তার মন পড়ে ফেলা সম্ভব; যদি তার চোখ স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড় করে তাকান এর অর্থ তিনি ফোকাসড আছেন, আড়চোখে তাকানোর অর্থ সংকোচ বা সন্দিগ্ধতা কিংবা সন্দেহপ্রবণতা, বাকাচোখে তীর্যক এবং চোখের পলক না ফেলে একনেত্রে তাকিয়ে থাকা হিংসা বা মৌন হিংস্রতার লক্ষণ হতে পারে! (৫) কেউ যদি আপনার দিকে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত সময় বারংবার আড়চোখে তাকায় তাহলে বুঝে নিবেন তার নিকট আপনি হয়তো বিশেষ কেউ; এই বিশেষত্ব শুধুই যে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ তা নয় বরং এটা হিংসা বা ঘৃণার কারণও হতে পারে (এটা সম্পূর্ণ পরিস্থিতি,পারিপ্বার্শিকতা এবং পারস্পারিক সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে)। (৬) কেউ যদি ভ্রু কুচকে থাকে তাহলে বুঝে নিবেন তিনি হয়তো বিরক্তবোধ করছেন। (৭) আপনার কথা শোনার সময় যদি অপর ব্যক্তির ভ্রু অসমান্তরাল হয়ে যায় তবে তিনি হয়তো আপনার কথাতে সন্দিগ্ধতা পোষণ করছেন। (৮) কেউ কথা বলার সময় বারবার নাকে-মুখে হাত দিচ্ছেন অথবা কপালের ঘাম মুছছেন এটার অর্থ তার মন বিক্ষিপ্ত অবস্থাতে আছে এবং হয়তো তিনি টেনশনে ভুগছেন! (৯) কেউ কথা বলার সময় বারবার ইচ্ছাকৃত অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টেনে আনছেন অথবা বিভিন্ন আজগুবি উদাহরণের তুলনা করছেন - এটার অর্থ হতে পারে তিনি সত্য লুকিয়ে কোন মিথ্যা দ্বারা আপনাকে প্রবঞ্চিত করার চেষ্টা করছেন। (১০) কথা বলার সময় যদি কারো কন্ঠস্বর স্বাভাবিকের চেয়ে নরম থাকে এর অর্থ তিনি আপনার আনুগত্য; খুব দৃঢ় কন্ঠস্বর অর্থ তিনি সত্য বলছেন আবার স্বাভাবিক চেয়ে অতিরিক্ত শক্ত কঠিন জোরগলায় কথা বলার অর্থ হয়তো কোন মিথ্যা কথা'কে তিনি আপনাকে সত্য হিসেবে বিশ্বাস করাতে চাইছেন। অন্যদিকে খুব দ্রুত কথা বলা বা কথা জড়িয়ে ফেলার অর্থ তিনি কোন কারণে মানসিকভাবে উত্তেজনা বা অস্থিরতা অনুভব করছেন; আবার কথা বলার মাঝখানে হাঠাৎ চুপ হয়ে যাওয়া বা বাক্য-বিষয়ের খেই হারিয়ে ফেলার অর্থ তিনি হয়তো আপনার কথাতে মনোযোগী নন বা আদতে আপনার কথা বিশ্বাস করতে পারছেন না! (১১) কেউ খুবই অস্বাভাবিক মাত্রাতিরিক্ত মনোযোগী হয়ে আপনার কথাগুলো শুনছেন- এটার অর্থ আপনাকে হয়তো তিনি সন্দেহ করছেন নতুবা আপনার কথা শতভাগ বিশ্বাস করতে পারছেন না। (১২) কথা বলার সময় স্বাভাবিক হাসি ইতিবাচকতা / নীরব মৌনতা হতে পারে সম্মতি / অতিরিক্ত নিশ্চল স্তব্ধতা কিংবা অসংগত বৈপরীত্য আচরণ হতে পারে নেতিবাচকতা / মাত্রাতিরিক্ত অস্বাভাবিক হাসি'র অর্থ হতে পারে সন্দিগ্ধতা,কৃত্রিমতা বা কপটতা। (১৩) কেউ যদি কথা বলার মাঝখানে অযাচিতভাবে কারন ছাড়াই হ্যান্ডশেইক বা অন্যভাবে আপনাকে স্পর্শ করতে চান- এটার অর্থ তিনি আপনার ওপর কোনরূপ আকর্ষিত হয়েছেন। আবার অহেতুক মেকি প্রশংসা করার অর্থ তিনি আপনাকে খুশী করতে চাইছেন এবং সম্ভবত আপনার দ্বারা তার কোন স্বার্থোদ্ধার করতে চাইবেন! (১৪) যদি কেউ অস্বাভাবিক আলতোভাবে হ্যান্ডশেইক করেন এর অর্থ তিনি আপনার ওপর বিশ্বস্ত বা আস্থাশীল নন, শক্ত করে জোর দিয়ে হ্যান্ডশেইক করার অর্থ তিনি আপনার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছেন। অপরপক্ষে বিপরীত লিঙ্গের দুজনের হ্যান্ডশেইক যদি অপেক্ষাকৃত বেশী সময় হয় এবং চাপ ও প্রকৃতির অসামঞ্জস্যতা থাকে তাহলে সেটা সেক্সুয়াল আবেদনের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে। (১৫) কেউ কথা বলার মাঝখানে বারবার ঢোক গেলার অর্থ হয়তো তিনি মিথ্যা বলার চেষ্টা করছেন। (১৬) অপরিচিত কেউ কথা বলার সময় যদি ইতঃস্তত করেন তবে এর অর্থ তিনি নার্ভাস ফিল করছেন এবং তিনি আপনার সাথে সবলীল নন; পক্ষান্তরে কথা বলার সময় যিনি শরীরিক দূরত্ব বিবেচনায় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশী ক্লোজ হয়ে পড়েন তিনি বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ এবং মিশুক হতে পারেন; তবে এটাও বিবেচ্য যে মাত্রাতিরিক্ত অস্বাভাবিক ক্লোজ হওয়ার পেছনে কোন কারন বা স্বার্থ থাকতে পারে! (১৭) কথা বলার সময় যদি কারোর ঠোটে অজান্তেই আপনা-আপনি হাসি চলে আসে তবে সেটা ভালোবাসা বা পজেটিভিটির সাইন হতে পারে। (১৮) কথা বলার মাঝখানে যিনি (ব্যস্ততা না থাকা সত্ত্বেও এবং সচরাচর অভ্যাস নয় তবুও) বারবার ঘড়ি দেখেন এটার অর্থ তিনি হয়তো আপনার সাথে স্বস্তিবোধ করছেন না এবং আপনাকে এড়িয়ে চলতে চাইছেন। (১৯) কেউ বারবার দীর্ঘ-নিঃশ্বাস ফেলার অর্থ তিনি ব্যক্তিজীবনে হয়তো অসুখী বা অখুশী কিংবা তার জীবনে হয়তো কোন না কোন আক্ষেপ রয়েছে। (২০) আপনি যদি কাউকে প্রায়শ মুখ গোমড়া করে থাকতে দেখেন, অনির্দিষ্ট বা লক্ষ্যহীন উদাস দৃষ্টি এবং প্রাণোচ্ছল'হীন তাহলে বুঝে নিবেন তার জীবনে এমন কোন নেগেটিভ হিস্টোরী আছে যা হয়তো তাকে ফ্রাস্টেশন ও ডিপ্রেশনে ভোগাচ্ছে। (২১) আপনি যদি কাউকে সচারাচর নয় এমন অস্বাভাবিক অকারনে বিক্ষিপ্তভাবে উদ্দ্যেশহীন হাটতে দেখেন তাহলে বুঝে নিবেন তিনি হয়তো কোন সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন নয়তো তিনি মানসিকভাবে অস্থিরতাবোধ করছেন। (২২) যিনি খুব ভালো ইমেশনাল ট্রাজিক গল্প বা উপন্যাস কিংবা কবিতা লিখতে পারেন তার জীবনে কোন না কোন অপূর্ণতা এবং কষ্টের স্মৃতি থাকার সম্ভবনা প্রবল! (২৩) যিনি কোন প্রকারের'ই গান বা সুর অথবা গজল সহ্য করতে পারেন না তিনি কোনরূপ মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ার সম্ভবনা আছে। (২৪) যিনি স্বাভাবিকের চেয়েও খুব ছোট ছোট অক্ষরে হাতের লেখা লিখেন তিনি স্বভাবতই হিসাবী বা একটু কৃপণ স্বভাবের হতে পারেন, পক্ষান্তরে হাতের লেখার সৌন্দর্য্য ব্যক্তিজীবনে শৈল্পিক ও সৃজনশীল প্রতিভার একটি লক্ষণ!
উল্লেখ্য থাকে যে হিউম্যান নন-ভার্বাল কমিউনিকেশন,ন্যাচার (প্রকৃতি), বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ইত্যাদি সময়ের সাথে সাথে সূক্ষভাবে স্বাভাবিক মন্থরগতিতে পরিবর্তিত হয় - সুতরাং Mind Reading কখনোই ধ্রুব বিষয় নয় বরং নিয়ত উৎকর্ষতা সাধনের মাধ্যমেই তা আপাতভাবে Perfect হতে পারে।
[বিঃদ্রঃ মানব মন তথা ব্রেইন যেমন বিশাল ঠিক তেমনই বিচিত্র - তাই উপরোক্ত গুটিকয়েক আলোচ্য বিষয় স্ট্যাডি করেই সকল মানব মনের সম্পূর্ণ নিগূঢ়তা ভেদ করা নিশ্চয়ই সম্ভবপর নয়; তথাপি উক্ত তথ্য (Data) দ্বারা মৌলিকভাবে আপাত হিউম্যান ব্রেইন তথা মানব মনের প্রকৃতি সম্পর্কে কিঞ্চিৎ হলেও ধারণা পাওয়া সম্ভব - শুধুই যে সম্ভবপর তা নয় বরং এইসব Data সমূহ হতে প্রাপ্ত Knowledge আপনার চিন্তন ভাবনার বিকাশে পরমভাবে ব্রেইনের আচরণ বুঝতে Primary ভূমিকা পালন করবে]।

Mind Wave

Mind Wave এর মাধ্যমে আসুন Mind Network তৈরী করি! যদি খুব কট্টরভাবে বলতে হয় যে Psychology এর সর্বাধিক রহস্যময় একগুঁয়ে [রূপক:- বিজ্ঞানের ফান্ডামেন্টাল সূত্র-স্বীকার্য প্রত্যক্ষভাবে মানে না এমন] দূরবর্তী শিথিলতম আত্মীয় Parapsychology তথা পরামনোবিজ্ঞান এর অদ্ভুতুড়ে টেলিপ্যাথি কিংবা টেলিপোর্টেশন অথবা সিক্স সেন্স ইত্যাদির রহস্য রঙ্গিন পঞ্চমুখ Science এর Logic নামক দর্পণে বড্ড ফ্যাকাশে; তথাপি নিখাঁদ সাইকোলজি নিষ্ঠাবান সায়েন্সের সহিত মিলিত হয়ে পর্যবেক্ষণ স্বাপেক্ষ PsychoTechnology [Metaphor] এর মাধ্যমে আরধ্য [প্রত্যাশী] ও অত্যাশ্চর্য [যেহেতু সচরাচর নয়] Mind Wave (Common Psychological Network) তৈরীর প্রয়াস নিতে পারি... Mind Wave হলো এমন সাইকোলজিক্যাল নেটওয়ার্ক সিস্টেম যেখানে Dispatcher (যিনি অন্যের নিকট তথ্য বা বার্তা প্রেরণ করতে চাচ্ছেন) Recipient (যাকে বার্তা পাঠানো হবে) এর সহিত প্রায় Zero Traditional Medium-এ আপাতভাবে একমুখী যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা আরকি!
সর্বপ্রথম আপনি আপনার Recipient -কে নির্দিষ্ট করুন >>> এখন ঐ Recipient-কে নিয়ে আপনার মনের অভ্যন্তর [সাব-কনশিয়াস মাইন্ড] হতে আপন অব্যক্ত Mind Message সমূহ Relate করে কল্পনা [Meditative Thinking] করতে থাকুন [এমনভাবে কল্পনা করুন যেন আপনি সত্যাসত্য'ভাবে দারূণ উৎসাহী হয়ে Recipient এর সহিত যোগাযোগ করতে চাচ্ছেন এবং আপনার মনের কথা তার মনের মাঝে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন] >>> এখন যথাসম্ভব ঐ Recipient এর নিত্য জীবন পরিধির অভ্যন্তরে [হউক তা রিয়েল লাইভ কিংবা ভার্চুয়াল] অধিগ্রহণ করার চেষ্টা করুন এবং হৃদয়গ্রাহী ভাব (impressive intention) নিয়ে আপনার "আপনি" এর সহজাত উপস্থিতি সুনিশ্চিত করুন >>> এই প্রক্রিয়াটি চলমান রাখুন যতোক্ষন না অবধি আপনি সফল হচ্ছেন, ব্যাস এতোটুকুই এনাফ!
উপরোক্ত বিষয়টি হয়তো আপনার নিকট খুবই হাস্যকর সহজ টেলিপ্যাথিক সিস্টেম মনে হচ্ছে - তথাপি একটু গভীরভাবে এনলাইসিস করলে আপনি কিঞ্চিৎ হলেও ইফেক্টিভিটি লক্ষ্য করতে পারবেন। যখন আপনি আপন মন হতে অতি-উৎসুকভাবে কারোর সহিত যোগাযোগ করতে চাইছেন কিংবা আপনার মনের কথা স্পেসিফিক কারোর সহিত শেয়ার করতে চাইছেন তখন আপনার Brain Wave [Brain Activities] কিছুটা হলেও আপনার Physical Nature এর মাঝে Effect [Nonverbal Systematic Sign] সৃষ্টি করে - যদিওবা সেটা সুপ্তভাবে বিরাজ করে তথাপি উক্ত বিশেষ ব্যক্তি সেটা হয়তোবা রিয়েলাইজ [উপলব্ধি] করতে সক্ষম হতে পারেন [যদিওবা এখানে আপনার ইমপ্রেশনস এবং অপর ব্যক্তির রিয়েলাইজেশন মুখ্য]! উদাহরণস্বরূপ বিপরীত লিঙ্গের কারোর প্রতি ভালোলাগা কিংবা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ প্রায়শই মৌখিকভাবে প্রপোজের পূর্বেই পরস্পর অনুধাবণ করতে সক্ষম হয় অথবা সন্তানের প্রকৃতি পূর্ব হতেই জ্ঞাত থাকায় মুখে না বললেও পিতা-মাতা সন্তানের মনের কথা বুঝতে সক্ষম হউন ইত্যাদি ইত্যাদি। সর্বোপরি আপনার উপরোক্ত Psychological Drill যখন Recipient এর Perimeter - এ পরিমার্জিত এবং পরিস্থিতি ও পারিপ্বার্শিকতার স্বাপেক্ষে সঠিকভাবে প্রতিভাত (Revealed) তথা অভিব্যক্ত হবে তখন প্রত্যাশা করা যায় যে Traditional Communication System ব্যতিরেকেই অপরজন আপনার অব্যক্ত অনুভূতি উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন!

Music Mind

Music Mind এর মাধ্যমে ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট:-
আমাদের মস্তিষ্ক সুরের প্রতি তীব্র সংবেদনশীল- এই বিষয়টি আপনি খুব সহজেই রিয়েলাইজ করতে পারেন; যেমন 'আপনার কাছে কি কিছু কিছু সুর খুব শ্রুতিধর আর কিছু কিছু সুর কেমন জানি কর্কশ মনে হয়? কিছু সুর বা আওয়াজ আপনাকে নস্টালজিক করে তুলে- অতীত স্মৃতি রোমান্থন করিয়ে আপনার ঠোটে হাসি এনে দেয় কিংবা দুই চোখ অশ্রুতে ভাসায়? আবার এমন কিছু কিছু সুর বা শব্দ যা আপনার স্নায়ুতে অসহ্য তীব্র বিরক্তি জাগায়', তাইনা?
Binaural Beat
এই সুরের প্রতি স্নায়ুর সংবেদনশীলতা'কে কাজে লাগিয়ে Mind Development করা যেতে পারে। আপনি হয়তো নিশ্চয়ই জানবেন যে Binaural Beat এর মাধ্যমে ব্রেইন ওয়েভের বিভিন্ন তরঙ্গ ব্যবহার করে সাইকোলজিক্যালি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা সম্ভবপর। মূলত Binaural Beat হলো আমাদের শ্রবণ ইন্দ্রিয় দুই কানের প্রতিটিতে এমন ফ্রিকোয়েন্সির টোন দেওয়া যাতে একটি অপরটির মাঝে ফ্রিকোয়েন্সির মানগত পার্থক্য বিদ্যমান এবং তা মস্তিষ্ক'কের এক্টিভিটির বিচারে ইফেক্টিভ হয়।
বিষয়টাকে যদি সহজভাবে বুঝিয়ে বলতে হয় তাহলে ধরুন আপনার বাম কানে 132Hz ফ্রিকোয়েন্সির একটি টোন দেওয়া হলো এবং ডান কানে 121Hz ফ্রিকোয়েন্সির একটি টোন; তাহলে উভয়ের মাঝে ফ্রিকোয়েন্সির পার্থক্য হলো (132-121)Hz=11Hz, যা আপনার মস্তিষ্কে ঐ 132Hz এবং 121Hz এর দুটি টোন ছাড়াও শ্রবণ বিভ্রমে আলাদা একটি 11Hz এর তৃতীয় টোনের উপস্থিতি জানান দেয় - যা আপনার ব্রেইনে একটি ইফেক্ট তৈরী করতে সক্ষম। অপরাপর আমাদের মস্তিকের নিউরন সমূহের মাঝে যে ডাটা ট্রান্সমিট কমিউনিকেশন সিস্টেম রয়েছে সেখানেও ইলেকট্রিক ইম্পালসে ফ্রিকোয়েন্সি দ্বারা মানব মনের সকল আচার-আচরণ-প্রকৃতি প্রভৃতি অভিব্যক্ত হয়।
যদিও Binaural Beats আমরা প্রত্যক্ষভাবে শুনতে পাইনা তবুও আমাদের ব্রেইন সেটা ঠিকই উপলব্ধি করতে সক্ষম।
Binaural Beat Range
এখানে উল্লেখ্য যে দুটি কানে প্রদানকৃত ফ্রিকোয়েন্সি মাত্রা অবশ্যই 1k Hz (1000Hz) এর কম হতে হবে এবং পার্থক্য আপাত 30Hz এর বেশী হতে পারবে না।
আসুন এবার মস্তিষ্কের বিভিন্ন আচরণে ফ্রিকোয়েন্সির একটি চার্ট দেখে নিই:-
Binaural Beat Chart
Delta (0.1Hz-4Hz) :- গভীর ঘুম এবং শিথিলতা [আনকনশিয়াস মাইন্ড] - যা আপনাকে গভীরভাবে নিঃশ্চিন্তে ঘুমাতে সহায়তা করবে! Theta (4Hz-8Hz) :- ঘুম, উদ্বেগ হ্রাস, শিথিলতা, ধ্যান ও সৃজনশীলতা [সাব-কনশিয়াস মাইন্ড] - যা আপনার ব্রেইনের অটো পাইলট স্টেট, ড্রিমিং এবং লার্নিং এর জন্য ইফেক্টিভ হবে! Alpha (7.5Hz-13Hz) :- উদ্বেগ হ্রাস এবং ইতিবাচকতা [সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের গেটওয়্যে] - যা আপনাকে Relaxation এনে দিতে সক্ষম! Beta (14Hz-30Hz) :- সচেতনতা, সতর্ক মনোভাব, সমস্যা সমাধান, স্মৃতিশক্তি উন্নয়ন [কনশিয়াস মাইন্ড] - যা আপনার ব্রেইনের ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রবলেম সলভিং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক! Delta (>30Hz) :- অতি উচ্চতর সতর্ক-সচেতন মনোভব [কনশিয়াস মাইন্ড] - যা আপনার Mind এর কনসানট্রেশন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে!
Binaural Beat Caution
প্রত্যহ Binaural Beat নিয়ম অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ে ৩০ মিনিট একাধারে শোনা যেতে পারে (অথবা আপনার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হয় এমন নাতিদীর্ঘ সময় ব্যাপী) সেক্ষেত্রে Sound Volume যেন অবশ্যই সীমিত থাকে যাতে আপনার শ্রবণ সক্ষমতায় কোন নেগেটিভ ইফেক্ট না পড়ে!

Psychological Time Travel

খুব সহজভাবে বললে "সময়" হলো দৈর্ঘ্য,প্রস্থ আর উচ্চতার মতোই অন্যতম এক অনন্য মাত্রা - যাকে সাধারণত চতুর্থ মাত্রা [Fourth Dimension] নামে অভিহিত করা হয়; "সময়" মাত্রা'টিকে অনন্য বলার কারণ এটি আপাতভাবে সচরাচর সহজ মনে হলেও আদতে তা খানিকটা রহস্যময় রোমান্টিক টাইপের জটিল [Complex] বললেও হয়তো খুব একটা ভুল হয়না! এই যেমন সময়ের আপেক্ষিকতায় কাগজে কলমে [Theoretically] সময় ভ্রমণ [Time Travel] সম্ভবপর; তাতে হয় রাক্ষুসে অন্ধকার বিশাল বিকট ব্ল্যাকহোলের অভ্যন্তরে পাড়ি জমাতে হবে নয়তো আমাদের চারিপাশের অতিশয় সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ওয়ার্মহোল [Wormhole] খুঁজে ফিরতে হবে! অন্যদিকে প্যারাডক্সের প্যারাতে আমাদের ভাবনা যেমন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায় তেমনি আলোক বেগ অর্জন করতে না জানি এই ভারী সুন্দর ভরের দেহখানি ছিন্নভিন্ন হয়ে শক্তিতে রূপ নেয় [E = mc^2]!
নাহ...ফিজিক্সের নিয়ম বড্ড কঠিন;তাতে চড়ে স্বপ্নীল সময় ভ্রমণ কবে নাগাদ সত্যি হবে তা কে জানে?! এরচেয়ে চলুন Psychics এর কট্টরতা এড়িয়ে Psychology এর ডানায় চেপে Time Travel করে আসি...
হুমম...বাস্তবিকার্থে এমন সময় ভ্রমণ হয়তো Absolute তথা পরম হবে না বটে - তথাপি মানব জীবনে যেথায় মস্তিষ্ক'ই সর্বেসর্বা সেথায় Relatively (আপেক্ষিকভাবে) সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশান গেইন করার প্রয়াস হাস্যকর মনে হলেও আদতে নন-ইফেক্টিভ নয় অন্তত; তদুপরি এখানে সময় নিয়ন্ত্রণ [Access of Time] এর মাধ্যমে মানব জীবনের সকল ফ্যাক্ট এনালাইসিস ও সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়ার যে প্রয়াসিত সম্ভাবনা - তাতে হয়তো সত্যি সত্যিই আপনি হয়ে উঠবেন Psychological Super Human!
চলুন শুরু করা যাক....
সাইকোলজিক্যাল সময় ভ্রমণের সুপার ভুবনে প্রবেশের আগে "সাইকোলজি" এবং "সময়" এর মাঝে সূত্র গাঁথা উচিত; যেন সঠিক রিয়েলাইজেশন অর্জনে মানব মস্তিষ্কে ঐ থিম গেঁথে যেতে সক্ষম হয় - তবেই না Super Human হওয়ার সাধ মিটিবে! মানুষ হিসেবে আমরা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য প্রাণী - তাতে ইন্দ্রিয় বহির্ভূত বিষয় সমূহ সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে না পারায় মানব মস্তিষ্ক তা উহ্য [Underestimate] করে; শুধু যে Underestimate করেই ক্ষান্ত হয়ে তা নয় বরং উহা আপন জ্ঞান তথা Knowledge এর তথ্য বা Data সমূহ দ্বারা যুক্তিগত এনালাইসিসের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন [Logical implementing] ঘটায়। আচ্ছা উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা বোঝানো যাক "ধরুন আপনি শূন্য মাত্রার এমন এক প্রাণী যার দৈর্ঘ্য,প্রস্থ বা উচ্চতা কিছুই নেই যেমন একটি পয়েন্ট বা বিন্দু [আদতে বাস্তবিকার্থে যদি আপনি একটি বিন্দু অঙ্কন করেন তবুও তার নূন্যতম হলেও দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা রইবে - সুতরাং উহা ত্রিমাত্রিক; তথাপি মাত্রা শূন্যতা বোঝাতে রূপকভাবে "বিন্দু" এর অবতারণা করা হলো মাত্র] তাহলে আপনার চোখে এই জগত কেমন হবে ভাবুন তো? দৃশ্যত জগতের সবকিছুই আপনার নিকট মাত্রাহীন অসমামঞ্জস্যপূর্ণ ঐরূপ বিন্দু বিন্দুর মতোই মনে হবে! আবার আপনি যদি দ্বিমাত্রিক প্রাণী হউন যার কেবলমাত্র দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ আছে তাহলে একটি ত্রিমাত্রিক প্রাণী (ধরে নিচ্ছি পৃথিবীর এক হাতি) এর আপনার ভুবনে অবতারণার করলে আপনার কল্পনা স্বরূপ কেমন হবে? ঠিক অনেকটা একটি তলে সর্বপ্রথম হাতির মোটা খাম্বার মতো গোলাকার চারটি পা'কে থ্যাবড়ানো চারটি বৃত্তের মতো মনে হবে যা চতুর্ভুজের চারটি কোণের অবস্থানে বিরাজমান - এরপর হাতির শরীরের অংশ মনে হবে যেন ঐ চারটি বৃত্ত মিলে মিশে একাকার হয়ে বিশাল আরেক অসম থ্যাবড়ে যাওয়া বৃত্তের উদ্ভব হচ্ছে - তার হাতির শুঁড় মনে হতে পারে অনেকটাই ঐ বৃত্তের ভেতর হতে লিকলিকিয়ে বের হয়ে আসা অভিক্ষেপিত অংশ আরকি [যেহেতু দ্বিতীয় মাত্রার প্রাণী হিসেবে আপনার তৃতীয় মাত্রা তথা উচ্চতা সম্পর্কে ধারনা নেই]!"
কি?!
আবার ফিজিক্সের সখী ম্যাথ এর গ্রাফ পেপারে কট্টরতা বোঝাচ্ছি বলে মনে হচ্ছে, তাইনা?! নাহ, আপনাকে এতোটুকু অন্তত বোঝানোর চেষ্টা করা হলো যে "একটি নির্দিষ্ট মাত্রার প্রাণী হয়ে আপনার ধ্যান ধারণার ধরণ [Style] কতোটা বৈচিত্র্যময় হতে পারে" সেথায় আপনার স্বাপেক্ষে আপনি যেটা ভাববেন সেটাই আপেক্ষিকভাবে সত্য বটে তবে পরমভাবে উহা নাও হতে পারে; আদতে "পরম" বিষয়টাই যেন এক চরম "আপেক্ষিক" ফ্যাক্ট! তাতে আমাদের ব্রেইন'কে রূপকভাবে বোকা বাক্স বললে ভুল হবে কি?!
লার্নিং ফ্যাক্ট:-
(1) আমাদের ধ্যান-ধারণা ও চিন্তা-চেতনার বহিঃপ্রকাশ আপেক্ষিক (2) সত্য ও মিথ্যার তুুলনায় আপেক্ষিকতা বিচার করা শ্রেয়তর উপায় কেননা পৃথিবীতে "পরম" এর অবস্থান আপাত অনিশ্চিত (3) এই পৃথিবী বা জগত আপনার নিকট তেমনি ঠিক যেমনি আপনার চিন্তা চেতনা - তাইবলে অন্যের নিকট যে আপনার ধারনা মতোই এই পৃথিবীর দর্শন [Philosophy] হবে তা নয় কিন্তু (4) দিনদিন টেকনোলজি উৎকর্ষিত হউক বা সভ্যতার বিকাশ ঘটুক তথা মানব জীবন উন্নত হউক আদতে মানব জীবন তথা Human Life এর একদম মূল [Root] মোটিভ বা ইনটেনশন কিন্তু কেবলি সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশান মাত্র (5) সবকিছুর সমাধান পেতে কারন অনুসন্ধানে যুক্তি তথা Logic এর শরণাপন্ন হলেই সর্বাধিক সঠিকতম ফলাফল লাভ করা সম্ভবনা থাকে (6) "বিশ্বাস" হলো "যুক্তি" এর চেয়েও চেয়েও অপেক্ষাকৃত প্রভাবশালী অনুভূতি যা চেতনা [Consciousness] এর চেয়ে খানিকটা দূর্বল - তথাপি সুখী ও সফলকাম হতে উভয়ের মিথস্ক্রিয়ায় ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান আবশ্যক (7) মানব মস্তিষ্কের চিন্তা চেতনার স্পেসিফিক ধরাবাঁধা সীমা-পরিসীমা নেই (8) একজন মানুষের চিন্তা তখনই ইফেক্টিভ হিসেবে সাব্যস্ত হয় যখন তাতে Logic বিদ্যমান থাকে; তাইবলে Logical সব চিন্তায় যে পরম সত্য হবে এমন ভাবনাও অমূলক বটে (9) আপনি কতো দ্রুত চিন্তা করতে পারছেন সেটা আপনার মস্তিষ্কের সক্রিতার প্রকাশক হলেও আপনার থিংকিং এর বৈচিত্র্যতা তথা ধরণ,দর্শন,প্যাটার্ন ইত্যাদি স্বকীয়তার পরিচায়ক!
টাইম-সাইকোলজি ফ্যাক্ট:-
(1) "সময়" এর পরিবর্তনের সাথে "সাইকোলজি" পরিবর্তিত হয়; এই পরিবর্তন খুবই "স্বাপেক্ষ" একটি বিষয় যেমন সময়ের সাথে সাথে কারোর প্রতি প্রেম,ভালোবাসা, মায়া ইত্যাদি বাড়তে বা কমতে পারে / সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতির সহিত খাপ খাওয়িয়ে নেওয়া তথা অভিযোজিত হওয়া / সময়ের সাথে সাথে স্মৃতি মলিন হতে থাকে / সময়ের সাথে সাথে কোন নেশা বা Attraction অভ্যাসে পরিণত হয় আবার প্যাশানের প্রতি প্রবলভাবে অবসেসিভ হওয়ার সম্ভবনা থাকে / নির্দিষ্ট কোন অবসেশন ধীরে ধীরে স্থায়ী বিশ্বাসে রূপান্তরিত হয় / বিশ্বাস ধীরে ধীরে কমতে বা কমতে পারে ইত্যাদি (2) সময়ের সাথে সাথে আপনার অভ্যন্তরীন সত্তা [চেতনা] পরিবর্তিত হতে পারে যাতে আপনার জীবনের পরিবর্তন ঘটে (3) "সময়" এর সাথে "সিচুয়েশান" এর স্মৃতিগত সুপ্ত সূত্র বিদ্যমান উদাহরণস্বরূপ যেমন আপনি হয়তো কোন কালে অমুক স্থানে আপনার প্রয়াত প্রেয়সীর সাথে দেখা করতেন - তাতে সময় পরিবর্তিত হলেও অমুক স্থানে পরবর্তীতে আপনার কখনো উপস্থিত হলে সেই স্মৃতি আপনার মন তথা মস্তিষ্কে পুনরায় জাগ্রত হতে পারে (4) সময়ের সাথে সাথে মস্তিষ্ক যেমন নতুন নতুন Data স্টোর হয় [Conscious Mind] তেমনি অতীত আপাত অপ্রয়োজনীয় কিছু তথ্য সুপ্ত অবস্থানে [Sub-Conscious State] জায়গা করে নেয় - আবার তা অবচেতন মন [Unconscious Mind] এর আধারে আপাত লুপ্ত [Hide] হতে পারে (5) সময়ের সাথে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ [Environment] স্বাপেক্ষে হিউম্যান সাইকোলজি সম্পর্কিত যেমন খুব ভোরবেলা মুক্ত আকাশের নিচে শীতল মৃদ্যু বাতাসে আমাদের মন রিফ্রেশ থাকে / বিকালবেলা বেড়াতে গেলে গেলে আমাদের মনে প্রফুল্লতা আসে / গভীর রাতে একাকীত্বে আমাদের মনে নস্টালজিয়ার আবির্ভাব ঘটে / রাতে নির্জন স্থানে একাকী যেতে আমাদের মনে ভয়ের সঞ্চার ঘটে ইত্যাদি (6) সময়ের সাথে সাথে হিউম্যান বায়োলজিক্যাল ক্লকে যে শুধু আমরা ফিজিক্যালি নিয়ন্ত্রিত হই [যেমন রাতের বেলা ঘুম আসে] তা নয় বরং সাইকোলজিও প্রভাবিত হয় বটে; যেমন বিকালে আমাদের মনে রোমান্টিকতা জাগে তো রাতে ইমোশন - অন্যদিকে ঠাই দুপুরে মেজাজ হট [উত্তেজিত মনোভাব] হয়ে থাকাও অস্বাভাবিক নয় (7) সাইকোলজিক্যালি রূপকভাবে [Metaphor] সময়ের আপেক্ষিক Density বিদ্যমান যেমন উদাহরণস্বরূপ বিপদ আপদে আমাদের নিকট মনে হয় সময়টা খুব ভারী / অনেক দূর পথে হাটতে হাটতে মনে হয় পথ যেন আর ফুরাচ্ছেই না / রোমান্টিক বা আনন্দের মুহূর্ত যেন দ্রুতই কেটে যায় ইত্যাদি (8) সময়কে আটকে রাখা তথা Store করার জন্য আমরা প্রয়াসিত হই ইতিহাস সংরক্ষণ করে,ডাইরি লিখে, ভয়েজ রেকর্ড বা ছবি তুলে কিংবা ভিডিও রেকর্ড করে স্মৃতি আগলে রাখার মাধ্যমে!
সাইকোলজিক্যাল সময় নিয়ন্ত্রণ:-
সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে নাকি আমরা সময়'কে নিয়ন্ত্রণ করি? এই প্রশ্নের উত্তরটা সহজভাবে এমন হতে পারে যে "সময় কর্তৃক অনেকটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমরা নিয়ন্ত্রিত হই" কেননা সময় অনেকটা বহমান নদীর জলস্রোতের মতোই তাতে আমরা সময়ের বেগে ভেসে বেড়াই! ঐ নদীর বাকে যেথায় ছোট ছোট খাঁদ আছে সেথায় যেমন জলস্রোত কিছুটা প্রভাবিত হয়ে স্রোতের বেগের সামান্য কিছুটা পরিবর্তন ঘটে - তেমনি সময়ও ভর [Mass] স্বাপেক্ষে উহার স্বকীয় গতি [Speed] এর তারতম্য তথা পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় [প্রচলিত উদাহরণে এক টান টান চাদরের মধ্যখানে ভারী লোহার বল রাখলে তাতে যে খাদের ন্যয় গর্ত সৃষ্টি হয় ঐ অঞ্চলে সময়ের গতি যেন খানিকটা ধীর হয়ে যায় আরকি]! যাই হউক সাইকোলজিক্যালি "সময় নিয়ন্ত্রণ" [Time Access] আদতে কিরূপ হতে পারে? - এই প্রশ্নের উত্তর হলো "উপলব্ধি" তথা Realisation করার প্রয়াসিত প্রচেষ্টা [তাতে সময়'কে আপনি হাতের মুঠোয় হয়তো কুক্ষিগত করতে পারবেন না সত্য তবে আত্তীকরণ করতে সক্ষম হবেন]। Time Access প্রক্রিয়ায় আত্তীকরণ প্রক্রিয়া এমন হবে যেন "আপনি যখন যেভাবেই যেমন অবস্থায় থাকেন না কেন ঐ অবস্থানের সহিত সময়'কে এরূপে সংযোজিত করুন যেন আপনার এক্টিভিটিতে তা পরিস্ফুটিত হয়" যেমন উদাহরণস্বরূপ দুপুরে আমরা Lunch করি - এখানে দুপুর সময় আসলেই আমাদের মনে অবচেতনভাবেই Lunch এর বিষয়টি চলে আসে তেমনি আপনার প্রত্যাহিক সকল এক্টিভিটিতে ঠিক কোন সময়ে কেমন পরিস্থিতি'তে কিরূপ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সংঘটিত হচ্ছে সেটা গভীরভাবে অবজার্ভেশান নিশ্চিত করুন। এই প্রক্রিয়ায় আপনি হয়তো সময়'কে ইচ্ছাধীন নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবহার [Utilisation] করতে পারছেন না সত্য তথাপি এটাও মিথ্যা নয় যে এরূপ ক্রিয়াকলাপে আপনি সময়ের স্বাপেক্ষে সিচুয়েশন রিয়েলাইজেশনে সর্বাধিক ইফেক্টিভিটি গেইন করতে সক্ষম হবেন। উদাহরণস্বরূপ ধরুন আজ রাতে আপনার বাসায় পৌছাতে পথে একাকী হাটতে হাটতে অযাচিত আগন্তুক এক পথচারী গল্প কথায় আপনার ঘনিষ্ঠ হয়ে ছিনতাই করে আপনার সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেলো - তাহলে আগামীকাল রাতে ঐ সময়ে একইরূপ হেটে হেটে গন্তব্যে পৌছানোর সময় আপনি আরও অধিক সচেতন হতে সচেষ্ট হবেন। এইভাবে আপনি বর্তমান সময়'টিকে আত্তীকরণের মাধ্যমে অতীতের শিক্ষার সুফলতা বাস্তবায়ন এবং ভবিষ্যতের জন্য সফল প্ল্যানিং করতে সক্ষম হবেন!
সাইকোলজিক্যাল টাইম ট্রাভেল:-
এখন আমাদের সম্মুখে একটি প্রশ্ন আসে যে "সাইকোলজিক্যাল টাইম ট্রাভেল" আদতেই কি সম্ভব? যদি সম্ভব হয় তাহলে সেটা কিভাবে? প্রথমোক্ত প্রশ্নের উত্তর হলো "হ্যা, সাইকোলজিক্যাল টাইম ট্রাভেল অবশ্যই সম্ভব" তবে এটা অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে এটি সাইকোলজিক্যাল তথা মনস্তাত্ত্বিক! দ্বিতীয়ত এই সাইকোলজিক্যাল টাইম ট্রাভেলের উপায় হলো কল্পনা যার বাস্তবায়িত স্বরূপ অনেকটাই ধ্যান তথা মেডিটেশানের মাধ্যমে সম্ভবপর হবে [তাইবলে কল্পনা মানে এই যে এটি সস্তা কল্পকথা এবং উক্ত মেডিটেশান এমন নয় যে সচরাচর সহজ ধ্যান ধরে কেবলি আধাত্মিকতা মাত্র]! এক্ষনে একটি বিষয় বিচার ও বিবেচনা করা যেতে পারে "ধরুন আপনি Physics এর উদ্ভাবিত Time Machine এ চড়ে সত্যি সত্যিই সময় ভ্রমণ করতে সফল হলেন কিন্তু আদতে আপনি ঠিক কি Gain করলেন? বাহ্যিক বস্তুবাদী চিন্তায় আপনি হয়তো অতীত পাল্টে ফেলতে বা ভবিষ্যত জেনে নিতে সক্ষম হচ্ছেন বটে তথাপি সবকিছুর মূলে আপনি যা পাচ্ছেন সেটি কেবলি Satisfaction মাত্র" আর MyMoon আপনাকে ঠিক তেমনি সাইকোলজিক্যাল টাইম ট্রাভেলের মাধ্যমে বাস্তব জীবনে সুফলতা ও সফলতা লাভে সুনিশ্চিতভাবে আপনাকে সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশান উপহার দিবে!
আসুন এখন টাইম ট্রাভেল আরম্ভ করা যাক....
অতীত সময় ভ্রমণ
অতীত সময় ভ্রমণের স্বরূপ Simulation আকারে হতে পারে যেখানে আপনি আপনার জীবনের অতীত সময়ের Remind কল্পনাতে অনেকটা Movie এর উপভোগ [আদতে স্মৃতি রোমন্থন মনে হলেও এটি Logic এর মাধ্যমে একরূপ ইফেক্টিভ এনালাইসিস] করতে পারবেন; তাতে আপনি অতীত সময় [ইচ্ছাধীন Control ব্যতীত] Access করতে সক্ষম হবেন!
অতীত ভ্রমণে আপনাকে সবার আগে নির্দিষ্ট করতে হবে যে আপনি ঠিক কোন সময়ের অতীত Access করতে চাচ্ছেন - সর্বাগ্রে ঠিক ঐ সময়'টিকে স্পেসিফাইড করুন >>> এখন উপযুক্ত Environment [সবচেয়ে Preferable হলো মধ্যরাত বা শেষরাতের শান্ত নিঃস্তব্ধ পরিবেশ] - এ আপনার শরীরটাকে শিথিল করে দুই চোখ বন্ধ করে আপনার ঐ অতীতের বিষয়গুলি কল্পনাতে রোমন্থন করতে প্রয়াসী হউন [বিষয়টা এমন নয় যে এটা সচারাচর শিথিল অতীত স্মৃতিচারণ বরং সচেতনভাবে অবচেতন মনের এমন ক্রিয়া যেন তাতে আপনার উক্ত অতীত যথাসম্ভব জীবন্ত ভাবে আপনার সম্মুখে Flashback হয়] >>> এখন আপনার ঐ সেই অতীতের ঘটনাবলী যা আপনার এখন (বর্তমান সময়ের স্বাপেক্ষে) মনে হয় যে "অমুক করলে হয়তো তমুক হতো" সেই বিষয়গুলো Mark করুন [এমনভাবে বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে হবে যেন অহেতুক আবেগ নয় বরং যথাসম্ভব যৌক্তিকতা থাকে] >>> ঐ সকল Marked বিষয়গুলো স্পেসিফিকভাবে Note করে 'ব্যক্তি' হিসেবে আপনার স্বাপেক্ষে Knowledge ও Wit ব্যবহার করে Logic দ্বারা আপনার জন্য Learning Lesson সমূহ তৈরী করুন [এই প্রক্রিয়ার Accession হয়তো আপনাকে Emotional করে তুলতে পারে - যেখানে আপনার Control আক্ষরিকভাবেই নেই; তথাপি আপনি যে Learning Lesson সমূহ পেয়েছেন সেটা ভেবেও স্বান্তনা খুজতে পারেন। বস্তুত স্বান্তনা মানে শুধুই মনের প্রবোধ মানাতে মিথ্যা ছলনা নয় - স্বান্তনা হলো স্বস্তি লাভের অনন্য উপায়; যেখানে কষ্টের নিরাময়ক আনন্দ নয় বরং প্রশান্তিকর স্বান্তনা মাত্র]!
বর্তমান সময় যাপন
বর্তমান সময় তথা Present Time যদিচ ভ্রমণ করার বিষয় নয় বলেই মনে হয় তবুও আমরা আরও গভীরভাবে থিংকিং করি যেন সঠিকভাবে রিয়েলাইজেশন করতে সক্ষম হই; বস্তুত আমরা ‌যে "বর্তমান সময়" বলে থাকি আদতেই কি সেই বর্তমান নামক সময়'টির অস্তিত্ব আছে কি?!
এই যেমন আজকের দিনটিকে হয়তো আপনি আপনার "বর্তমান সময়" হিসেবে ভাবতে পারেন - তথাপি সেটা আরও Reduce করে ঘন্টা/মিনিট অথবা সেকেন্ডে নিয়ে আসলে আপনার জন্য বর্তমান সময়ের স্বরূপ এমন হবে যেন "এটি আমার বর্তমান সময়" বলতে বলতে বা ভাবতে ভাবতেই তা অতীত হয়ে যাবে এবং আপনি নিয়ত ভবিষ্যতে পদার্পণ করে ফেলবেন, তাইনা? আবার আপনি বর্তমান সময়ে সূর্যের আলোয় পৃথিবীর যে সৌন্দর্য উপভোগ করছেন তা আদতে ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড আগের সূর্যের আলো [পৃথিবী হতে সূর্যের দুরত্ব ও আলোর বেগ বিবেচনায়] -তে প্রতিফলিত হয়ে আপনার চোখে দৃশ্যমান হচ্ছে; রূপকভাবে এভাবে বলা চলে আপনি অতীতের আবেশে বর্তমানকে অবলোকন করছেন। অন্যদিকে সূর্যাস্তের পর রাতের আকাশে যেসব তারা বা নক্ষত্র দেখেন তা আদতে [দুরত্ব বিবেচনায়] ঐ নক্ষত্রের অতীত অবস্থা মাত্র! বোঝার সুবিধার্থে উদাহরনস্বরূপ Proxima Centauri এর দুরত্ব 4.2 Light Year যাতে Proxima Centauri হতে আলো Earth তথা পৃথিবীতে আসতে সময় লাগে 4 Year 3 Month - সুতরাং আপনি এখন যে Proxima Centauri অবলোকন করছেন তা আসলে Proxima Centauri এর 4 Year 3 Month এর আগের অবস্থা - উল্টো করে বিবেচনা করলে Proxima Centauri হতে শক্তিশালী একটি টেলিস্কোপ স্থাপন করে পৃথিবীর প্রতি ফোকাস করলে পৃথিবীর 4 Year 3 Month আগের অবস্থা অর্থাৎ অতীত সময় দেখতে পাবেন!
সুতরাং অনেকটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় "বর্তমান সময়" এর বলে আদতেই কিছু হয়না - বড়জোর খুবই স্বল্প সময়ের পরিসর যা তাৎক্ষণিক ক্ষণ [অতীত ও ভবিষ্যত সময়ের মধ্যকার ব্যবধান (ΔT) পরিমান সময়] "বর্তমান" হিসেবে ইন্ডিকেট করা যেতে পারে; এই অতিশয় সূক্ষ ক্ষীণ ক্ষণ'টি আদতে উপলব্ধি স্বাপেক্ষ স্থিতিশীলভাবে ইউটিলাইজেশান খানিক কঠিন বটে - তবুও এই "বর্তমান" সময় হতেই অতীত ভ্রমন [অতীতের সময়ের Remind] এবং ভবিষ্যৎ ভ্রমণ [অতীতের সময়ের Remind হতে প্রাপ্ত Perception দ্বারা ভবিষ্যত Planning] এর মাধ্যমে মাধ্যমে সর্বাধি Effectively বর্তমানের স্বার্থক Utilisation সম্ভব যাতে আপনি জীবনে সুখ তথা স্যাটিসফেকশান ও সুফলতা তথা সফলতা এচিভ করতে পারেন - এমনই আদর্শিক হওয়া উচিত আপনার বর্তমান সময় যাপন!
ভবিষ্যত সময় ভ্রমণ
ভবিষ্যত সময় ভ্রমণ অনেকটাই অতীত সময় ভ্রমণের মতোই Simulation স্বরূপ হলেও এখানে আপনার Access এমন হবে যেন আপনি কল্পনাতে সঠিক Planning এর মাধ্যমে ভবিষ্যত Control করতে প্রয়াসী হচ্ছেন! এই প্রচেষ্টায় আপনার কল্পনার চিন্তাধারা এমন হবে যেন আপনি আপনার 'ভবিষ্যত' এক Simulation চিত্রে "আপনি কি করলে তার ফলাফল ঠিক কেমন হতে পারে?" সেটা নিয়ে Logically আপন মনে খেলবেন - সেই খেলায় যদি ভুল হয় তবে Undo করে আবার নতুন করে খেলার ছক সাজাবেন যেন চূড়ান্তভাবে ভবিষ্যৎ বিজয় সুনিশ্চিত হয় >>> আপনার কল্পনার প্রতিটি ভাবনার স্বাপেক্ষে এমনভাবে নিজেকে অভিযোজিত করায় সংকল্প গ্রহণ করবেন যেন "আপনি তো ভবিষ্যৎ জানেন'ই [By Logical Hypothesis] - এখন সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পূর্ব হতেই প্রস্তুত হচ্ছেন মাত্র [By Learning Lesson & Logic]"!

Magic Mind

Magic Mind এর মাধ্যমে আপনার মনের সুপ্ত অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা লাভ! মানব জীবন (Human Life) যেমন বৈচিত্র্যময় তেমনি মানব মন (Human Mind) তথা Brain ততোই বিস্ময়কর - তদুপরি এই অদ্ভুত বৈচিত্র্যতার অনেকটাই হয়তো অদ্যবধি আমাদের অজানা তাইতো সাইকোলজিক্যালি কখন-কিভাবে আমাদের মন (Mind) ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায় তথায় মস্তিষ্ক (Brain) কেমন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় কি মিথস্ক্রিয়া সংঘটন করে সেটা আমরা পরমভাবে রিয়েলাইজ করতে সক্ষম হইনা [যদি সেইসকল মিথস্ক্রিয়ার মানচিত্র ও ক্রিয়া-কলাপ আমরা সহজাতভাবেই সুনির্দিষ্ট করতে পারতাম তবে আমাদের প্রত্যাহিক জীবন আরও সহজ ও সুগঠিত হতো বটে তবে অজানা অনিশ্চয়তায় সৃষ্ট বিবিধ সৌন্দর্য হয়তো হারাতে হতো]; যেমন Magic অর্থাৎ জাদু সম্পর্কে যদিও আমরা জানি [সচেতন মন বা কনশিয়াস মাইন্ডে] সেইসব লুকায়িত কৌশল (Trick) এর ভোজবাজি মাত্র তবুও কুহক-মায়া কি ইন্দ্রাজালের মোহিনী শক্তি [এখানে মোহিনী শক্তি বলতে মোহ বা আসক্তির ফলে জন্মানো অস্পষ্টতায় রহস্যময়তার প্রতি অবচেতন কি অচেতন আবেগ ও অনুভূতিকে বোঝানো হয়েছে মাত্র] আমাদের অভ্যন্তরীন সত্তা [সাব-কনশিয়াস মাইন্ড] -কে সম্মোহিত করতে সক্ষম; এখানে শুধুই মনের দোষ দিয়েই দায় এড়ানো চলে না বরং কাটখোট্টা বায়োলজির ফিজিক্যাল দায়িত্ব বন্টনে নিউরনের আধার হতে নির্দেশিত জৈব-রাসায়নিক রসালো তরল হরমোনের নিঃসারিত যে ব্যাপন তাতেও অভ্যন্তরীন শরীর যন্ত্র নিতান্তই অবুঝ নয়তো চরমভাবে নির্লিপ্ত - আর হয়তো অনুসক্ত অবুঝ বলেই বৈচিত্রতায় এতো সৌন্দর্য [রূপকভাবে উদ্ধৃত]!
চলুন বিষয়টা সহজভাবে উপলব্ধির চেষ্টা করি....
প্লাসিবো ইফেক্টের ক্ষেত্রে আমাদের মনের জোর বা মনের শক্তি যেরূপ প্রেক্ষাপটে "একটি সুন্দর সুগঠিত মিথ্যা" দ্বারা যে ছলনার উদ্ভব করে তাতে অবুঝ মস্তিষ্ক "বিশ্বাস" দ্বারা প্রভাবিত হয়েই হয়তো হরমোনের নির্দেশনায় ফিজিক্যালি প্রভূত (অদ্ভুত) পরিবর্তন সাধন করে আবার নিতান্তপক্ষে উল্টে পাল্টে যাওয়া জীবন চিত্র নিমিষেই বদলে যায় কয়েক মিনিটের মমতাময়ী সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে। উদাহরণ আর দৃষ্টান্ত এখানে ক্ষান্ত নয় - নিদারুণ নোংরা অগোছালো ছেলেটার জীবন অত্যাশ্চর্য সুন্দর নিয়মানুবর্তী হয়ে উঠে কোন এক মানবীর পরম প্রেমে; আলসেমির আদুরে আবেগী মেয়েটি দারুণভাবে সংসারী হয়ে উঠে বিয়ে নামক অদৃশ্য সাইকোলজির বন্ধনে; আপাতভাবে লজিক্যালি অসম্ভব অনেক কিছুই তো প্রতিনিয়ত সম্ভব হচ্ছে আমাদের এই Mind তথা Brain এর অদ্ভুত অপরূপ শক্তিতে!!!
হ্যা Mind Magic বলতে আমরা এগুলোই আইডিয়েন্টিফাই করতে পারি সেখানে ঝাড়-ফুঁক, মন্ত্র-তন্ত্র, তাবিজ-কবচ, মাদুলী-পাথর প্রভৃতি ঐশ্বরিক-দৈবতার দয়া বা দোহায় দেবার দরকার হয় না [বস্তুত ঝাড়-ফুঁক, মন্ত্র-তন্ত্র, তাবিজ-কবচ, মাদুলী-পাথর প্রভৃতি ঐশ্বরিকতা-দৈবতার মূলকথা তথা Root ঐ একই পূর্বোক্ত মনস্ত্বাত্বিক Fact মাত্র]!
আমরা যদি এই Magic Mind বিষয়টিকে বাস্তব জীবনে স্বার্থকভাবে ইউটিলাইজ করতে চাই তবে আমাদের "বিশ্বাস" তথা "আত্ন-বিশ্বাস" এর চূড়ান্ত ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে হবে - যা কিনা আমাদের সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের আয়ত্তাধীন; Meditaive Self Hypnosis এর মাধ্যমে আমরা বিষয়টি যথাসম্ভব Ensure করতে পারি...
ক্রিয়া-কর্ম পদ্ধতি
সর্বপ্রথম মধ্যরাত বা শেষরাতে অন্ধকার আবদ্ধ একটি কক্ষে [এমন পরিবেশ সাজেস্ট করার কারণ হলো গভীর রাতের নিঝুম - নিস্তব্ধতায় বিশেষ সাইকোলজিক্যাল Circumstantial Ignition লাভ করা] একাকী একটি Black Candle হাতে আয়নার সম্মুখে ফিজিক্যালি নির্ভার হয়ে সম্মুখে হালকা ঝুকে দাড়ান >>> এখন আপনার প্রতিবিম্ব'কে লক্ষ্য করে আপনার উদ্দেশ্য বা হেতু অনুযায়ী কামান্ড প্রদান করুন [উল্লেখিত এনভায়রনমেন্টে আপনার প্রতিবিম্ব মূলত আপনারই সাব-কনশিয়াস মাইন্ড এর প্রতিনিধিত্ব করছে] >>> আপনার সাইকোলজিক্যাল কামান্ড হতে হবে পূর্ণ নিষ্ঠার সহিত আত্মবিশ্বাসী হয়ে [আপনাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ নিবেদিত মানসিকতায় পরমভাবে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে - এক্ষেত্রে সচেতনভাবেই অবচেতন মনের বন্ধ দুয়ার খুলতে লজিক অপেক্ষা আবেগ ও অনুভূতি'কে এর প্রাইম প্রায়োরিটি প্রদান করা বাঞ্ছনীয়] প্রারম্ভিকতায় অনুরোধবাচক এবং অনুশীলন স্বাপেক্ষে ক্রমান্বয়ে আদেশ বা নির্দেশসূচক [উদাহরণস্বরূপ বিবেচনা করা হলো আপনি একটি বিশেষ কর্মে সফলতা লাভ করতে চাইছেন - সেক্ষেত্রে এমনভাবে কমান্ড দিতে পারেন "হে...আমার সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের প্রতিনিধিরূপ প্রতিবিম্ব আমি তোমাকে অনুরোধ করছি আমার অমুক কর্মে তুমি আমাকে সফল করো; আমার পূর্ণ মানসিক শক্তি নিয়োগে শতভাগ সাইকোলজিক্যাল স্ট্যামিনায় আমাকে সফলতা লাভের পথে প্রতিনিয়ত পরিচালিত করো"] >>> সাইকোলজিক্যাল কমান্ড প্রদান শেষে মোমবাতি নিভিয়ে ঐ অন্ধকারেই কারোর সহিত বাক্য বিনিময় কিংবা কোনরূপ আলোক আবলোকন ব্যতীরেকে ভিন্ন কোন ক্রিয়া-কলাপে নিযুক্ত না হয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন [যথাসম্ভব প্রদত্ত সাইকোলজিক্যাল কমান্ড আপনার মস্তিষ্কে নিগূঢ়ভাবে গেঁথে দেওয়ার নিমিত্ত] >>> সবিশেষ এই প্রক্রিয়া নিয়ত চলমান রেখে এমন আস্থাশীল Thinking হতে হবে যেন এই Meditaive Self Hypnosis আপনার প্রত্যাহিক জীবনে Positive Effect বয়ে আনছে তবেই আপনি স্বার্থক-সফলভাবে Efficiency গেইন [উপলব্ধি] করতে পারবেন বলে আশা করা যায় [এমন সতর্কমূলক নির্দেশনার হেতু যদি আপনি আশাহত হয়ে অবিশ্বাসী হউন তবে বস্তুত আপনি আপনার নিজের আপন অবচেতন মন'কেই সন্দিগ্ধতায় অস্বীকার করছেন - যা আপনার পরবর্তী জীবনে হয়তো ভারসাম্যহীনতায় নেগেটিভিটির কারণ হতে পারে]।
সতর্কীকরণ
বিঃদ্রঃ যদি আপনার প্রথমেই উপরোল্লিখিত Task এর প্রতি কোনরূপ সংশয় কাজ করে তবে বিষয়টি কখনোই অনুশীলন না করার জন্য বিশেষভাবে উপদেশ দেওয়া হলো কেননা যদিওবা আপেক্ষিকভাবে Logic সর্বদাই সত্য তথাপি মনস্ত্বাত্বিক মিথস্ক্রিয়ায় Convincing Sense অপেক্ষাকৃত অধিক প্রগাঢ় প্রভাবক বটে। এটাও জেনে রাখা উত্তম যে যদি উপরোক্ত Task প্রতিপালনে কোনরূপ ভয় কাজ করে কিংবা ব্যক্তিবিশেষ মানসিকতার ভিন্নতায় প্রাথমিক দিকেই প্রত্যাহিক জীবনে কোন বিরূপতা পরিলক্ষিত হয় তবে অবশ্যই উল্লেখিত Task হতে নিজেকে প্রত্যাহার করুন যতোক্ষন না অবধি অবিচল-আস্থাশীল নির্ভীক এবং পজেটিভ মানসিকতা লাভ করছেন!

Unconscious Mind Access

বাস্তবিকপক্ষে এক্সটার্নালি আনকনশিয়াস মাইন্ড এক্সেস ও কনট্রোল পদ্ধতি খুব সুনির্দিষ্ট নয় কেননা এটি অনেকটাই Relatively ব্যক্তি নির্ভর মানসিক প্রক্রিয়া - যদিও কল্পনাতে নিজের সহিত আত্ম কথোপকথন, ইচ্ছামতো আপন মনে লেখনী, পেশীর স্বয়ংক্রিয় এক্টিভিটি, আত্ম-সম্মোহন, ধ্যান ইত্যাদি বিভিন্নভাবে অচেতন মনের ইউটিলাইজেশন করা সম্ভব তথাপি এককভাবে একটি 'সার্বজনীন উপায়' সংজ্ঞায়িত করা সত্যিই কঠিন বটে! তদুপরি আমাদের প্রায় সবারই একটি Common Psychological State হলো স্বপ্ন বা Dream - যার মাধ্যমে আমরা আমাদের আনকনশিয়াস মাইন্ডের এক্সেস করার প্রয়াস চালাতে পারি [স্বাভাবিকভাবে 'স্বপ্ন' হলো কল্পনা রাজ্যে মানুষের সচেতন - অবচেতন ও অচেতন মনের রহস্যময় মিথস্ক্রিয়া; যা Dream Environment এর Nature বিবেচনায় এমনভাবে Indicate করা যায় যেন সারদিনের সচেতন এক্টিভিটির সাথে সম্পর্কিত স্বপ্নগুলো মূলত 'কনশিয়াস মাইন্ড' দ্বারা influenced হওয়া Dream / আপনার অবচেতন মনের চিন্তা - ভাবনা - চেতনার সাথে সম্পর্কিত স্বপ্নগুলো হলো 'সাব-কনশিয়াস মাইন্ড' দ্বারা influenced হওয়া Dream / অপরাপর আপনার সচেতন এবং অবচেতন মনের চিন্তন পরিসীমার বাইরের Unsolicited স্বপ্নগুলো আপনার 'আনকনশিয়াস মাইন্ড' এর Dream হতে পারে। তথাপি 'স্বপ্ন' বিষয়টি আদতে ততোটাও সহজ নয় কেননা (কনশিয়াস মাইন্ড + সাব-কনশিয়াস মাইন্ড) অথবা (সাব-কনশিয়াস মাইন্ড + আনকনশিয়াস মাইন্ড) বা (কনশিয়াস মাইন্ড + আনকনশিয়াস মাইন্ড) কিংবা (কনশিয়াস + সাব-কনশিয়াস মাইন্ড + আনকনশিয়াস মাইন্ড) এভাবে মিলিয়েও আমাদের Dream Structure তৈরী হতে পারে - তদুপরি Combinational Dimension বিষয়টিও গুরুত্ব বিবেচনায় আলোচ্য হতে পারে]।
সর্বপ্রথম Human Biological Clock - এ আপনার ঘুমানোর সময় পূর্ব হতেই সুনির্দিষ্ট করে নিন >>> ঐ সময়ে ঘুমানোর পূর্বে ফিজিক্যালি ও সাইকোলজিক্যালি নিজেকে যথাসম্ভব রিলাক্স করে নিন >>> এখন শান্তচিত্তে নিজেই নিজেকে সেল্ফ-সাজেশন দিন (আপন মনে দৃঢ় চিত্তে নিজেই নিজেকে বলুন) "আজ রাতে আমি স্বপ্নের মাধ্যমে আমার আনকনশিয়াস মাইন্ডের এক্সেস করবো" [উল্লেখ্য সাজেশন'টি দেবার সময় নিজের ওপর পূর্ণ আত্মবিশ্বাস রাখা আবশ্যক; তথাপি সেল্ফ-সাজেশনের পর এমনটা নাও হতে পারে যে ঐ রাতেই আপনি আপনার অচেতন মনের স্বরূপ কোন স্বপ্ন দেখবেন অথবা আদতে কোন স্বপ্ন নাও দেখতে পারেন - তবুও আপনাকে কোনরূপ কনফিউশান বা হেজিটেশন ছাড়াই শতভাগ আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে পরবর্তী রাতে পুনরায় নিজেকে একইভাবে সেল্ফ-সাজেশন দিতে হবে এবং এভাবেই Success না হওয়া অবধি চলতে থাকবে - অতঃপর যখন আপনি Succesful হবেন তখনও যদি একই প্রক্রিয়া চলমান রাখতে চান তবে সেল্ফ-সাজেশন Continue রাখবেন....] >>> এখন আপনি স্বপ্ন দেখার সময় চেষ্টা করুন আপনি যেন আপনার সেই স্বপ্ন'কে আপনার ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন [এই বিষয়টি Lucid Dream নামে পরিচিত; এক্ষেত্রে আপনি পূর্বের মতোই দৃঢ়প্রত্যয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে পূর্বোক্ত প্রথম সেল্ফ-সাজেশন সফলতার চলমান প্রক্রিয়ায় নতুন দ্বিতীয় সেল্ফ-সাজেশন'টি জুড়ে দিন এমনভাবে "আমি আমার আনকনশিয়াস মাইন্ডের স্বপ্ন ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করতে চাই"। যদিচ সম্পূর্ণ বিষয়টিই সেল্ফ-সাজেশনে নিজের কনশিয়াস মাইন্ড দ্বারা সচেতনভাবে আপন সাব-কনশিয়াস মাইন্ড'কে দেওয়া এক দৃঢ় প্ররোচনা যখন আপনি REM (Rapid Eye Movement) ঘুমে নিবিষ্ট থাকবেন তখন যেন আপনার অচেতন মনের আপাত বিস্মৃত হওয়া সুপ্ত স্মৃতির তথ্য আপন স্বপ্নের মাধ্যমে উদ্বেলিত হয়ে উন্মুক্ত হয় - ঠিক ঐ সময়ে পূর্বোক্ত সাব-কনশিয়াসে প্রযুক্ত প্ররোচনা যেন Reflected হয়ে আপনার কনশিয়াস'কে প্রভাবিত করে তাতে অচেতন মনের Dream এ সচেতন মনের অধিগ্রহণ ক্রিয়া সম্ভবপর হয়]!
Dream আমাদের সুস্থ Brain এর সৃজনশীলতা বাড়াতে যেমন তাৎপর্যপূর্ণ - ঠিক ততোটাই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের Brain এর সমস্যা সমাধান তথা Problem Solving ইউনিটের উৎকর্ষতা সাধনে; সর্বোপরি আমাদের জীবনের অপরিহার্য Brain এর অনন্যতম বৈচিত্র্যতা যেন ফুটে উঠে Dream এর মাধ্যমে - যেখানে ঐ Dream নিয়ন্ত্রণ করে আমরা হয়ে উঠতে পারি Damn Super Human!!!

Psychological Relief

Psychological Relief এর মাধ্যমে যাবতীয় মানসিক অশান্তি হতে স্থায়ীভাবে মুক্তিলাভ করুন!
সাধারণত জীবন চলার পথে হাসি-কান্না আর সুখ-দুঃখ নিয়েই আমাদের এই সময় পরিক্রমা; তবুও হয়তো মাঝে মধ্যে আমাদের মনে হয় "ইস আমি যদি এমন দুঃসহ পরিস্থিতিতে বেঁচে না থাকতাম তাহলে হয়তো এমন অসহ্যকর কষ্ট-গ্লানি হতে মুক্তি পেতাম" তাইতো মানসিক আঘাত কি কষ্ট-ক্লেশ, দুঃখ-যন্ত্রণা অথবা ডিপ্রেশন-ফ্রাস্ট্রেশন প্রভৃতি সাইকোলজিক্যাল নেগেটিভ ইনআরশিয়াতে অনেকেই আত্ম-হননের পথ বেছে নেয় বা বেছে নিতে বাধ্য হয়! মিথ-মিথ্যা কিংবা কল্পনা-ধারণা অথবা ধর্ম-বিশ্বাস ইত্যাদিতে এই "আত্ম-নিঃশেষ" হওয়া'কে ঘৃণিত দৃষ্টিভঙ্গি'তে দেখা হয়; যদিচ বিষয়টি মোটেই এমন হওয়া উচিত নয় [আত্ম-হনন সামাজিক এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অবশ্যই পরিত্যাজ্য তবে এটার সহিত মিথ্যা রঙ্গরস মিলিয়ে কাল্পনিকতায় অযৌক্তিক ভীতিকর উপস্থাপনা মোটেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না; অন্তত যতোক্ষন না অবধি কোন স্পষ্ট এভিডিয়েন্স বা স্বচ্ছ প্রমাণিত সত্য প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে]। মানব জীবনে একবার মৃত্যুর পর আর সেটাকে Undo করা যায়না তাই মৃত্যু কখনোই উপভোগ্য হতে পারে না বরং ভুক্তভোগী হতে হয় মাত্র [এক্সপেরিমেন্টের উদ্দ্যেশে মৃত্যু'কে পরমভাবে এক্সপেরিয়েন্স করা অদ্যবধি আপাতত অসম্ভব প্রায়- তবে অধিকাংশ বাস্তব পর্যবেক্ষণ হতে এই Hypothesis গৃহীত হতে পারে যে "মৃত্যুর সময় মানব মস্তিষ্ক এতোটাই অস্থিতিশীল থাকে যেন তাতে চূড়ান্ত মৃত্যুর অনুভূতি কিংবা দর্শন দর্শানো সম্ভব হয়না"]! অপরাপর মৃত্যু'ই যদি সকল পার্থিব সমস্যার সঠিক সমাধান হয়ে থাকে তবে সেটা তো Relief; যা একমাত্র জীবিত অবস্থায় স্বস্তি লাভের ঐ পরম অনুভূতি রিয়েলাইজেশন করা সম্ভবপর [যেহেতু মৃত্যুর পর হিউম্যান ব্রেইনের সেন্স ক্রিয়াশীল থাকে না]। অতএব আপাত অবধারিত মৃত্যুকে হিউম্যান ব্রেইন যতোদিন না অবধি জয় করতে পারছে ততোদিন আত্ন-হননের চেয়ে Psychological Relief-ই হতে পারে সর্বোৎকৃষ্ট শ্রেয়তর পন্থা! সাধারণত মৃত্যু হলো মূলত ব্রেইন ডেথ (মস্তিষ্কের ক্রিয়া-কলাপ বন্ধ হওয়া) সেখানে হৃদপিন্ডের ব্লাড পাম্পিং বন্ধ হওয়ায় একমাত্র মুখ্য ফ্যাক্ট নয় [ক্লিনিকাল ডেথ হলে সেটাকে মৃত্যু ধরে নেওয়ার কারন হলো হার্টের ব্লাড পাম্পিং বন্ধ থাকলে অল্প কিছুক্ষনের ভেতরেই অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের কর্টেক্সের কোষগুলো মারা যায় ফলে Neuron সমূহের কানেকশন বিছিন্ন হয়ে যায় - তথা মৃত্যু ঘটে; যদিও ক্লিনিক্যাল ডেথ হওয়ার পরও মৃত্যু থেকে রিটার্ন করার নজির বিদ্যমান তথাপি ব্রেইন ডেথ হলে কখনোই রিটার্ন করা সম্ভব হয়না] - সুতরাং পরম মৃত্যু হলো ব্রেইন ডেথ প্রক্রিয়া! প্রথাগত ধ্যান-ধারণাতে মৃত্যু যদিও আমাদের নিকট এক অজানা রহস্যময় অযাচিত বাস্তব সত্যতা তবুও মৃত্যুর কষ্ট ভেবেই আমরা সহজাত সচরাচর সেটাকে অবচেতনে ভুলে থাকার চেষ্টা করি - যদি মৃত্যু সহজ এবং কষ্টহীন হতো তবে সেটা অবশ্যই আপেক্ষিকভাবে সুমধুর হতো নিশ্চয়ই [রূপক] - Psychological Relief আপনাকে তেমনি এক পরম অনুভূতি প্রদান করবে যেখানে মৃত্যুর ন্যায় কষ্ট নেই অথচ মুক্তির সাম্যক সুখকর অনুভূতি বিদ্যমান! আমরা পূর্বেই জেনেছি যে প্রকৃত মৃত্যু হলো মূলত "ব্রেইন ডেথ" তাই জীবিত থেকে আপন ব্রেইনকে আপাত Inactive করার সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপায় হলো ঘুম তথা Sleep [বিষয়টা খুব ফানি মনে হলেও এটাই পরম সত্য কেননা (১) পুরোপুরি ব্রেইনকে নিষ্ক্রিয় করে সেটা পুনরায় সতেজ সক্রিয় করা অদ্যবধি সম্ভব নয় (২) বিভিন্ন ট্রিক কিংবা ঔষধ বা ক্যামিকেল ব্যবহার করে অচেতন হওয়া ক্ষতিকর এমনকি প্রাণঘাতী হতে পারে (৩) ঘুম হলো সকল মানুষের জন্যই এক স্বাভাবিক বায়োলজিক্যাল প্রসেস; যেখানে কনশিয়াস মাইন্ডের অচেতনতায় সাব-কনশিয়াস ও আনকনশিয়াস মাইন্ডের এক্টিভিটি আমাদের ব্রেইনে বিদ্যমান থাকে] - তবে মৃত্যু ধারণাতে যেমন "মরণ হলো সকল চিন্তা-ভাবনার পরিসমাপ্তিতে মুক্তি লাভ" এমনটা হয়তো আমাদের প্রত্যাহিক Non Organized ঘুমের মাধ্যমে গেইন করা সম্ভব হয়না; তাই Psychological Relief আপনাকে এমনি সুন্দর সুগঠিত এক Meditaive & Hypnotic Sleep এর সন্ধান বাতলে দিবে.... সর্বাগ্রে আপনার প্রত্যাহিক জীবনের আদর্শ ডায়েট চার্টের বাইরে অতিরিক্ত খাবার, ফ্যাটি ফুড, চিনি জাতীয় খাদ্য, উত্তেজক পানীয় বা যেকোন উদ্দীপক ক্যামিকেল (যেমন ড্রাগ ইত্যাদি) প্রভৃতি সুস্থতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এমন বিষয়গুলো পরিহার করুন >>> ঘুমাতে যাবার আগে আয়েশী ফিজিক্যাল স্টেইজ হতে ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরে যথাপোযুক্ত ক্লান্তি নিয়ে আসুন [ঘুমাতে যাবার আগে ঐদিন প্রভাতে কিংবা নূন্যতম ৪ ঘন্টা আগে ব্যায়াম করতে পারেন] >>> এখন বিছানাতে শুয়ে যথাসম্ভব ফিজিক্যালি নির্ভার হয়ে আপনার আপন ব্রেইনকে শান্ত ও ধীর-স্থির করুন >>> এবার Meditaive Mood-এ আত্ম-বিশ্বাসের সহিত আপনার মন'কে এমনভাবে Self Hypnotic Command প্রদান করুন "আমি ঘুমাতে চাই...আমি আজ নিঃশ্চিন্তে ঘুমাবো...আমার একটি সুন্দর এবং ফ্রেশ ঘুম হবে....এমন ঘুম যেন প্রশান্তিতে আমার মন জুড়িয়ে যাবে...আমার ঘুমের মাঝে আমি যেন আমার অমুক [যেটা নিয়ে আপনি টেনশন ফিল করছেন বা সমাধান চাচ্ছেন - সেই বিষয়ে সংক্ষেপে সারমর্ম বা শিরোনাম উদ্ধৃত করুন] সমস্যার সমাধান খুঁজে পাই....ঐ স্বপ্ন যেন আমাকে এমনভাবে অনুপ্রাণিত করে যাতে আমি বাস্তব জীবনে সমস্যা সমাধানে সঠিক দিক-নির্দেশনায় সফলতা লাভ করতে সক্ষম হই" >>> এখন দুই চোখ বন্ধ করে অন্ধকার অথবা অবছা আলো-আধার আবহে বাতাস প্রবাহিত হতে পারবে এমন খোলামেলা পরিবেশে একটি উন্নত সাউন্ড কোয়ালিটির ইয়ারফোন/ইয়ারবাড ব্যবহার করে যথাসম্ভব লো-ভলিউমে [এমন ভলিউম যেন শ্রবণ বিরক্তি না জাগে আবার বাহ্যিক শব্দের জন্য আপন কনসানট্রেশন নষ্ট না হয়] Relaxing Audio Music শুনতে শুনতে ঘুমানোর চেষ্টা করুন >>> এই প্রক্রিয়া পূর্ণ আত্ম-বিশ্বাস নিয়ে চলমান রাখুন [হয়তো প্রথমদিকে এমনভাবে ঘুম আসবে না অথবা বোরিং ফিল হবে কিংবা কনসানট্রেশন ধরে রাখতে পারবেন না; এমনটাও হয়তো হতে পারে যে আপনি কোনরূপ স্বপ্ন দেখবেন না অথবা সলিউশন পাবেন না কিংবা সুন্দর ঘুম না হয়ে একটু আধটু ঘুম হবে বা বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্ন স্বপ্ন দেখবেন - তবুও আপনাকে নিষ্ঠার সহিত পূর্ণভাবে আত্ম-বিশ্বাসী হয়ে প্রত্যয়ী মানসিকতায় বিবর্ধিত উদ্যম নিয়ে Task চালিয়ে যেতে হবে; তবে আপনি স্বার্থকভাবে সফলতা লাভ করতে সক্ষম হবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়]। এমন Organized Sleep যদি আপনার ব্রেইন'কে মুক্তির নির্ভার অনুভূতি প্রদান করে এবং Frequency আপনার ব্রেইনে অটো পাইলট স্টেট এবং ড্রিমিং-লার্নিং ইফেক্টিভ হয় তবে সেটি আত্ম-হনন অপেক্ষা নিশ্চয়ই কমপারেটিভলি বেস্ট উপায় বটে! "ইচ্ছাকৃত মৃত্যু মানে হারার আগেই হাল ছেড়ে দিয়ে পরাজয় বরণ করা - ঐরকম মৃত্যু সমাধান নয় বরং মিথ্যা আত্ম প্রবোধ মাত্র" সুতরাং ইচ্ছাকৃত মৃত্যু সুধা পান না করে Psychological Relief আস্বাদনে সুখী জীবন গড়ে সফলতা লাভ করুন যেন "বাঁচার মতো বেঁচে থেকে নিশ্চল নিরস মৃত্যুকে জয় করতে পারেন"!

Zero Therapy

দুরারোগ্য রোগ সমাধানে Zero Therapy!
দুরারোগ্য রোগ বলতে এখানে এমন রোগ'সমূহ ইন্ডিকেট করা হচ্ছে যা সারানো যায় না এমন দুশ্চিকিৎস্য [সেটা হতে পারে বর্তমান সময়ের মেডিকেল চিকিৎসার আপাত সীমাবদ্ধতা কিংবা রোগীর একান্তই আর্থিক আনুকুল্যতা না থাকায় কোনরূপ উপয়ান্তর বিদ্যমান না থাকা অথবা একান্তই যেকোন নিরুপায় অবস্থা বা অবস্থান]; এরূপ অবস্থায় Zero Therapy হতে পারে সুখী ভাবে বেঁচে থাকার উপায় [অন্তত যতোক্ষণ না অবধি রোগী'টি মৃত্যুবরণ করছেন (কথাটি যদিও শুনতে বড়ই অমানবিক বা নিষ্ঠুর মনে হলেও এখন অবধি "মৃত্যু সকলের জন্যই অবশ্যম্ভাবী সত্য" তাই একজন রোগী উপরোল্লিখিত পরিস্থিতিতে যতোক্ষন না অবধি জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছেন তার পূর্ব অবধি আপাত সুখীভাবে যেন জীবন যাপন করতে পারেন সেই ব্যবস্থাপনা)] এবং আপাত সুস্থতার এক কার্যকরী সাইকোলজিক্যাল উপায় [এক্ষেত্রে Zero Therapy রোগের চিকিৎসা নয় বরং রোগ সমাধান করার উপায় হিসেবে বিবেচিত হলো]।
Zero Therapy বলতে একদমই যে চিকিৎসা করা হবে না এমন নয় বরং এটি আপেক্ষিক প্রস্তাবনা যাতে সময়, পরিবেশ ও পরিস্থিতি স্বাপেক্ষে একজন ক্লিনিক্যাল স্পেশালিষ্ট ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং গার্ডিয়ানের এর অনুমতি স্বাপেক্ষ লাস্ট ট্রিটমেন্ট হওয়া উচিত; আবার এমনটা যদি পরিস্থিতি হয় যখন ডাক্তার বা গার্ডিয়ান অনুপস্থিত কিংবা অপ্রতুল তখন প্রয়োজনে স্বার্থে যেকোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি এরূপ করতে পারেন বলে মনে করা যেতে পারে [যদিও এটা সামাজিকভাবে কিছুটা ঝুকিপূর্ণ বা বিভ্রাট ঘটাতে পারে তাই প্রস্তাবনার বিপরীতে সুনিশ্চিত একটি পদ্ধতি প্রণয়ন করা যেতে পারে] - মোদ্দাকথা Zero Therapy একদমই আপেক্ষিক!
Zero Therapy Functionl
(১) Zero Therapy -তে কপটভাবে হলেও এমন চিকিৎসা ব্যবস্থার আয়োজন করা যাতে রোগীর মনে আশ্বস্ততা জাগে যে তার সঠিক চিকিৎসা'ই হচ্ছে এবং তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন - তাতে সুখীভাবে জীবনে বেঁচে থাকার আশ্বাস পাবেন। যদিও এটাকে ছলনা মনে হতে পারে তথাপি প্লাসিবো ইফেক্ট রোগীর ব্রেইন সিগন্যালের হরমোন নিঃসরনে আপাত সুস্থতা [সুস্থতার অনুভাব] জাগাতে সক্ষম। (২) Zero Therapy এর একটি আপাত আদর্শ ক্ষেত্র হতে পারে হোমিওপ্যাথিক কেননা যদিও এই চিকিৎসা ব্যবস্থা একদমই ভিত্তিহীন তবুও যেহেতু যেহেতু তাতে একটি বড় জনগোষ্ঠী পূর্ব হতেই বিশ্বাসী তাই এটা ইফেক্টিভ হতে পারে [তবে ছলচিকিৎসায় যদি স্পিরিট মেশানো পানি অহামরি মূল্যে বিক্রি হয় তবে তা অবশ্যই একরূপ নির্লিপ্ত অনুচিত কর্ম বলে বিবেচিত হওয়া উচিত! তবে এখানেও সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট বিদ্যমান যে "বেশী টাকায় কেনা ঔষধ" গ্রহণে যে উদ্দীপ্ত মানসিকতা ক্রিয়াশীল হয় তাতে প্লাসিবো ইফেক্ট বোধহয় খানিক ত্বরান্বিত হয়]; প্রয়োজনে হোমিওপ্যাথি এর সহিত এলোপ্যাথি ট্রিকলি ব্যবহার করা যেতে পারে [কেননা রিলেটেড এলোপ্যাথি ঔষধ কিছুটা হলেও ক্রিয়াশীল হতে সক্ষম]। (৩) হোমিপ্যাথির মতোই ঝাড়ফুক, কবিরাজি, তাবিজ-কবচ ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে [যদি তাতে ছলচিকিৎসার মূল মোটিভ ঠিক থাকে এবং কেবলি চাতুর্যময় প্রতরাণার লাভজনক অভিলাষ না থাকে]। (৪) রোগীকে রোগের দুরবস্থা জানতে না দেওয়া এবং এমনভাবে আশ্বস্ত করা যেন তাতে তিনি সুস্থতার আশ্বাস নিয়ে বাঁচতে পারেন - এক্ষেত্রে প্রিয়জনের মিথ্যা মোটিভেশন কাজে লাগতে পারে [মিথ্যা পজেটিভ রিপোর্ট, স্টেরয়েড বা স্নায়ু বিভ্রমকারী ড্রাগ ইত্যাদি ইফেক্টিভ হতে পারে]। (৫) রোগীকে এমন পরিবেশে থাকতে দেওয়া যেন তাতে তিনি ন্যাচারাল এক্টিভিটি করতে উজ্জীবিত হন [যেমন উদাহরণস্বরূপ রোগীকে হাত ধরে হাটিয়ে বাথরুমে না গিয়ে বলতে পারেন - "তুমি তো এমনিই একা একা বাথরুমে যেতে পারে, আমার সহায়তা লাগবে না - তুমি একাই যাও" যাতে সে মানসিক উদ্দীপনা লাভ করে; তথাপি সতর্ক সচেতনতা আবশ্যক]।
বিঃদ্রঃ Zero Therapy সম্পর্কে এখানে কিছু প্রাইমারি তথ্য প্রস্তাবনা আকারে দেওয়া হলো যেন বিষয়টি সকলে উপলব্ধি করতে সক্ষম হউন - তথাপি এটা রোগী, রোগীর অবস্থা, অবস্থান, প্রেক্ষাপট, পারিপার্শ্বিকতা, পরিবেশ প্রভৃতির ওপর নির্ভরশীল আপেক্ষিক বিষয় মাত্র!
সবিশেষ "মৃত্যু বেদনাদায়ক" এটা যেমন সত্য তেমনি মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত অবধি মৃত্যুর শঙ্কা, ভয়, অনিশ্চয়তা এবং একইসাথে শারিরীক ও মানসিক যন্ত্রণায় [শারিরীক যন্ত্রণা আরও কঠিন হয়ে যায় যখন তাতে মানসিক যন্ত্রণা যুক্ত হয়] ক্ষণিক জীবনকাল বর্ণনাতীত কষ্ট আর যন্ত্রণায় আবিষ্ট হতে পারে - সেখানে এই Zero Therapy হতে পারে এক অনন্য সমাধান!

Conclusion:-

আত্মপ্রশংসা স্বাভাবিকভাবেই একটু হলেও দৃষ্টিকটু বটে তথাপি বিষয়টি যখন আপন মস্তিষ্কের তরে গোটা জীবনের উৎকর্ষতা লাভ তখন আপন মস্তিষ্কের স্বীয় শংসন অহংকার বা দাম্ভিকতা নয় বরং তা গর্বের বিষয় - যাতে ইনস্পাইরেশানে কার্যকর সেল্ফ মোটিভেশনাল লব্ধ হয়!